ঢাকা বুধবার
২৪ এপ্রিল ২০২৪
২৭ মার্চ ২০২৪

মেসি-রামোসের বিদায়ী ম্যাচে পিএসজির হার


খেলা ডেস্ক
181

প্রকাশিত: ০৪ জুন ২০২৩ | ১০:০৬:১৬ এএম
মেসি-রামোসের বিদায়ী ম্যাচে পিএসজির হার ফাইল-ফটো



প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের হয়ে শেষবারের মতো মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি ও সার্জিও রামোস। নিজের বিদায়ী ম্যাচ বলেই কিনা জ্বলে উঠলেন রামোস। শুরুতেই পেয়ে যান গোলের দেখা। কিলিয়ান এমবাপ্পে আছেন তার আগের মতোই। তিনিও ডাবল লিড এনে দেন। তবে প্যারিসিয়ানদের জার্সিতে মেসির শেষ ম্যাচটা মেসিভক্তদের মনের মতো হলো না। জয় দিয়ে যে পিএসজি অধ্যায়ের শেষ করতে পারলেন না আর্জেন্টাইন মহাতারকা। ক্লেরেমন্টের কাছে হেরে গেছে পিএসজি।

লিওনেল মেসি ও সার্জিও রামোস একসঙ্গে খেলবেন, ব্যাপারটা একসময় কল্পনাই করতে পারত না অনেকে। সবাইকে অবাক করে দিয়েই একসময়কার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পিএসজিতে এসে হয়েছেন সতীর্থ। মাঠের সেই অসম্ভাব্য বন্ধুত্বের মেয়াদও এখন শেষ হয়েছে এসেছে। শনিবার ক্লেরমন্ত ফুতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পিএসজিকে বিদায় জানিয়েছেন লিওনেল মেসি ও সার্জিও রামোস। কিন্তু বিদায়ী ম্যাচে জয়ের দেখা পাননি তারা। প্রথমে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও ২-৩ গোলে ম্যাচ হেরেছে পিএসজি। 

ম্যাচের আগেই লিওনেল মেসি ও সার্জিও রামোসের জন্য ছোটখাটো একটি বিদায় অনুষ্ঠান করে পিএসজি। পার্ক ডি প্রিন্সেসে সপরিবারে ভক্তদের কাছে বিদায় নেন এই দুই কিংবদন্তি। দুজন বিশ্ব ফুটবলে কিংবদন্তির মর্যাদা পেয়েছেন তাদের আগের ক্যারিয়ারেই। পিএসজি ক্যারিয়ার তাতে খুব একটা অবদান রাখেনি। স্পেনের সবচেয়ে বড় দুই ক্লাব থেকে মেসি ও রামোসের পিএসজিতে যোগ দেওয়া গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তোলার চেয়ে বেশি কিছু এনে দিতে পারেনি। মেসি-রামোসের দুই মৌসুমেই পিএসজি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বাদ পরেছে শেষ ষোলোতে। এর দায় অবশ্য ক্লাব কর্তৃপক্ষের। দলের মেসি-নেইমার-এমবাপের মতো বড় তারকা থাকলেও কখনোই ভারসাম্যপূর্ণ একটি একাদশ তৈরি করতে পারেনি পিএসজি। দলের ভারসাম্যের অভাব ফুটে উঠেছে তাদের শেষ ম্যাচেও। 

মৌসুমের শেষ ম্যাচে শুরুটা ভালোই করে ইতোমধ্যে লিগ জিতে যাওয়া পিএসজি। পঞ্চম মিনিটে ক্লেরমন্তের করা গোল ভিএআর বাতিল করে দেওয়ার পর ১৬ মিনিটে ডেডলক ভাঙে স্বাগতিকরা। সর্ট কর্নার থেকে বল নিয়ে বক্সে ক্রস করেন ভিটিনহা, সেই ক্রসে হেড করে দলকে এগিয়ে নেন বিদায়ী ম্যাচ খেলতে নামা সার্জিও রামোস। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি পেনাল্টি পায় পিএসজি। তা থেকে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করেন এমবাপে। 

ম্যাচে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর যেন একটু ঝিমিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ২৪ মিনিটে গোলরক্ষকের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ব্যাকপাস কেড়ে নিয়ে গোল করে বসেন ক্লেরেমন্ত মিডফিল্ডার ইয়োহান গাস্তিয়েন। বিরতির আগে আরেকটি রক্ষণাত্মক ভুল থেকে গোল খায় পিএসজি। 

দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজি যথেষ্ট আক্রমণ করলেও জয়সূচক গোলটি পায় ক্লেরমন্ত। ৬৩ লেফট উইং থেকে আসা এক ক্রসে ফিনিশিং টাচ দেন ক্লেরমন্ত নাম্বার নাইন গ্রেয়ন কায়ি। পরাজয় নিয়ে ম্যাচ ও মৌসুম শেষ করে চ্যাম্পিয়নরা। 


আরও পড়ুন: