ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
২৭ মার্চ ২০২৪

টানা দ্বিতীয়বার এশিয়ান মুকুট জিতল কাতার


ডেস্ক রিপোর্ট
129

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০৩:০২:৪২ পিএম
টানা দ্বিতীয়বার এশিয়ান মুকুট জিতল কাতার ফাইল-ফটো



এই মাঠে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের উৎসবে মাতোয়ারা হয়েছিল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। দুই বছর পর লুসাইল স্টেডিয়ামে শিরোপা উৎসব করল ২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিক কাতার। এবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি পসরা সাজিয়ে বসেছিল এশিয়ান কাপের। এশিয়ার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জয়ের ওই লড়াইয়ে আকরাম আফিফের হ্যাটট্রিকে তারা হারিয়ে দিয়েছে জর্দানকে।

দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে পৌঁছে রূপকথার জন্ম দিয়েছিল জর্ডান। তবে ফাইনালে আর সেই রূপকথার পুনরাবৃত্তি করতে পারেনি আরব দেশটি। এ জয়ে টানা দ্বিতীয়বার এশিয়ান কাপের শিরোপা জিতল স্বাগতিক দেশ কাতার।

২০১৯ সালে আগের আসরেও এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতেছিল কাতার। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ওই আসরে তারা ফাইনালে হারিয়েছিল এশিয়া কাপের সবচেয়ে সফল দেশ জাপানকে।  অন্যদিকে এবারই প্রথম ফাইনাল খেলল জর্দান। এশিয়া কাপের এবারের ফাইনালে কাতার ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে জর্দানকে।

দুইবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়াকে সেমি-ফাইনালে হারিয়ে আসা জর্ডান প্রথমার্ধে ছিল সাদামাটা। ৭ মিনিটে প্রথম আক্রমণটি শাণায় কাতার। আফিফের দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট ফেরান জর্ডান গোলরক্ষক আবু ইয়াজিদ। ১৬তম মিনিটে ইয়াজান আল নিয়ামাতের দূরপাল্লার জোরাল শট সরাসরি যায় কাতার গোলরক্ষক মেশাল বারশামের কাছে।

২০তম মিনিটে আফিফকে বক্সে পেছন থেকে আব্দল্লাহ নাসিব ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন আফিফ। বলের লাইনে ঝাঁপালেও গতির সঙ্গে পেরে ওঠেননি গোলরক্ষক। এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে উদযাপন শুরু হয় লুসাইলের আঙিনায়।

৩২তম মিনিটে আফিফের কর্নারে লুকাস মেন্দেসের হেড গ্লাভসের ছোঁয়ায় ক্রসবারের উপর দিয়ে বের করে দেন ইয়াজিদ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার ভালো সুযোগটি নষ্ট হয় জর্ডানের। আলি ওয়ানের আড়াআড়ি ক্রসে মৌসা তামারির প্লেসিং শট মোহাম্মদ ওয়াদের গায়ে লেগে ব্লকড হয়।

বিরতি থেকে ফিরে জর্ডানও ম্যাচে ফেরার জোর চেষ্টা চালায়। সেই ধারাবাহিকতায় ৬৭ মিনিটে সমতায় ফেরে জর্ডান। মিডফিল্ডার এহসান হাদ্দাদের পাসে দুর্দান্ত এক গোলে সমতা ফেরান আল নাইমাত। তবে ৬ মিনিট পর আবারও এগিয়ে যায় কাতার। এবারও পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। গোলদাতা সেই আকরাম আফিফই। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকে কাতার। ৯৫ মিনিটে জর্ডানের কফিনে শেষ আঘাত করেন আকিফ। তিন পেনাল্টি থেকে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন কাতারের এই ফরোয়ার্ড। ফলে টানা দ্বিতীয়বার এশিয়ার মুকুট পড়ল স্বাগতিক কাতার।

দুই আরব দেশ সৌদি আরব এবং ইরান প্রত্যেকে শিরোপা জিতেছে তিনবার করে। দক্ষিণ কোরিয়াও শিরোপা জিতেছে দুইবার। তবে তাদের সর্বশেষ শিরোপা ১৯৬০ সালে। জর্দানকে হারিয়ে শিরোপা জয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার পাশে বসল কাতার।


আরও পড়ুন: