ঢাকা শনিবার
২০ এপ্রিল ২০২৪
২২ মে ২০২৩

নতুন করে সেজেছে যশোর


ডেস্ক রিপোর্ট
155

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২২ | ০৫:১১:৫০ পিএম
নতুন করে সেজেছে যশোর ফাইল-ফটো



যশোরজুড়ে চলছে রঙবেরঙের কাজ। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতর সেজেছে নতুন রঙে। নতুনভাবে সাজানো হয়েছে শহরের মুজিব সড়ক, সিভিল কোর্টের মোড়, শহিদ সড়ক, দড়াটানা মোড়, পুলিশ লাইন্স, বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক। এ যেন এক নতুন শহরে রূপ নিয়েছে। ১৭ নভেম্বর থেকেই শুরু স্টেডিয়ামে নৌকার আদলে মঞ্চ তৈরির কাজ হয়েছে।

আগামী ২৪ নভেম্বর যশোরে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন যশোর শামসুল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন তিনি। এর আগেই প্রস্তুত যশোর শহর। নানান রঙে সাজানো হচ্ছে শহরের অলিগলি। সেজেছে স্টেডিয়ামের মরিচা ধরা রডও। বানানো হচ্ছে তোরণ আর অভ্যর্থনা গেটও।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, যশোরে স্মরণকালের বৃহৎ জনসমাবেশ ঘটাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জনসভায় পাঁচ লাখ মানুষের সমাগমের লক্ষ্য রয়েছে। সমাবেশস্থলে জায়গা বাড়াতে স্টেডিয়ামের উত্তর পাশের গ্যালারি ভেঙে ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ মাঠের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে। জনসভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও আশপাশের জেলার নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।

জেলা আওয়ামী লীগ ও ট্রাফিক বিভাগের তথ্যমতে, জনসভা সফল করতে নানামুখী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আটটি উপ-কমিটির নেতারা। এরই মধ্যে বিশাল এ গণজমায়েতের জন্য বাস, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস মিলিয়ে পাঁচ হাজার যানবাহন আসা ও পার্কিংয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করেছে ট্রাফিক বিভাগ। চার হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ১০টি স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এমপি-মন্ত্রীদের জন্য চারটি, অন্য ভিআইপিদের জন্য একটি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জন্য আরো ৫টি পার্কিং এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে সীমানা বাড়ানো হবে। জনসভার দিন শহরে কোনো যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হবে না। শহরের অংশ হেঁটেই সবাইকে চলাচল করতে হবে। আর হেঁটে চলাচলের জন্য একটি রোডম্যাপও করা হচ্ছে।

যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় প্রথমবারের মতো আসছে দেশের ঐতিহ্যবাহী কলরেডি কোম্পানির মাইক। জনসভার ভাষণ প্রচারে গোটা শহরজুড়ে প্রায় ৩০০ মাইক থাকবে এ কোম্পানির।

যশোর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনী খান পলাশ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে যশোর নান্দানিক রূপে সাজানো হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি ভবনে রঙ করা হচ্ছে। বিশেষ করে সংস্কার করা হচ্ছে পৌরসভার সব সড়ক। ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে।

যশোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। শনিবার (১৯ নভেম্বর) থেকে জেলা শহরসহ সব উপজেলা ও ইউনিয়নে মাইকে প্রচার করা হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু যেখানে জনসভা করেছিলেন, ঠিক সেখানেই জনসভা করবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সেখানে কোনো রাজনৈতিক দল জনসভা করেনি। ২৪ নভেম্বর বৃহত্তর যশোর জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে জনসমুদ্রে পরিণত হবে এ জনসভাস্থল।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, স্টেডিয়ামে নৌকার আদলে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে মঞ্চ তৈরির কাজ। নির্ধারিত সময়ের আগেই মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হবে।

যশোর ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান বলেন, ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জনসভার দিন ট্রাফিক পুলিশ অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি তৎপর থাকবে। শহরে যেন কোনো যানজটের সৃষ্টি না হয় এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হবে।


আরও পড়ুন: