ঢাকা বুধবার
২৪ এপ্রিল ২০২৪
২১ এপ্রিল ২০২৪

বারকোডের মাধ্যমে জানা যাবে রিকশার বৈধতা


ডেস্ক রিপোর্ট
160

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২২ | ১২:১১:৩৬ পিএম
বারকোডের মাধ্যমে জানা যাবে রিকশার বৈধতা ফাইল-ফটো



অনুমোদনহীন রিকশা চলাচলে বাড়ছে যানজট। এ যানজট নিরসনেই রিকশায় বারকোড বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।বারকোড দেখলেই চেনা যাবে বৈধ-অবৈধ রিকশা। অবৈধ হলে চলে যাবে ডাম্পিংয়ে।

এরই মধ্যে নিবন্ধন ও লাইসেন্স ফি নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে কার্যক্রম। বারকোড বসানোর ফলে বৈধ রিকশা চেনা যেমন সহজ যাবে, তেমনি অবৈধ বাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে ট্রাফিক বিভাগ। এমনটিই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, বারকোড নিতে হলে নিবন্ধন ফি ৩০০, লাইসেন্স ফি ১০০ ও আবেদন ফরম বাবদ ৫০ টাকা মিলিয়ে রিকশাপ্রতি ৪৫০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। এরপর পাওয়া যাবে বারকোড সম্বলিত রিকশার লাইসেন্স। যার মেয়াদকাল থাকবে দুই বছর। প্রতি বছর ১০০ টাকা ফি দিয়ে লাইসেন্সটি নবায়ন করতে হবে।

তবে রিকশার মালিক ও চালক দুজনকেই লাইসেন্সের আবেদন ফরম নিতে হবে। একই সঙ্গে রিকশাচালকদেরও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে। এজন্য তাদের বাড়তি ৫০ টাকা করে গুনতে হবে। যদিও প্রথম বছর রিকশাচালকদের জন্য আবেদন ফি ও কার্ড বাবদ ১০০ টাকা নেয়া হবে। পরে শুধু কার্ডে ৫০ টাকা নেয়া হবে। বেসরকারি ব্যাংক ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে এসব লেনদেন সম্পন্ন হবে।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, গত বছর কেমিস্ট সিজিডি কনসোর্টিয়াম নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে বারকোড বানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই সময় এক লাখ ছয় হাজার রিকশার বারকোড তৈরির কাজ দেওয়া হয় তাদের। এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার রিকশার বারকোডের ডাটা এন্ট্রির কাজ শেষ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে ৬০ হাজার রিকশার তথ্য সফটওয়্যারে আপডেট করা হয়েছে। কিন্তু বারকোডের জন্য চসিক থেকে ফি নির্ধারিত না হওয়ায় গত এক মাস ধরে ঝুলেছিল বাকি কাজ। সবশেষ সোমবার অর্থ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় ফি চূড়ান্ত হয়।

কেমিস্ট সিজিডি কনসোর্টিয়ামের সহ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান বলেন, রিকশার বারকোড ফি চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুই বছরের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ৩০০ টাকা করে নেয়া হবে। লেনদেনের সব প্রক্রিয়া ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। আশা করছি শিগগিরই বারকোড দেওয়া শুরু হবে।

চসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তিবরিজ বলেন, আগে রিকশার ক্ষেত্রে ডিজিটাল কিউআর কোড ছিল না। এখন যেহেতু থাকবে তাই নতুন-পুরাতন সব রিকশার বারকোড সম্বলিত লাইসেন্স নিতে হবে।

কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ মাসের শেষ সপ্তাহে সাধারণ সভা হবে। সেখানে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। সম্প্রতি অর্থ সংস্থাপন শাখার স্ট্যান্ডিং কমিটিতে লাইসেন্স ফি চূড়ান্ত হয়েছে। বাকিটা সভায় উঠলেই কবে নাগাদ কাজ শুরু হচ্ছে তা বলা যাবে।

আ জ ম নাছির উদ্দিন মেয়র থাকাকালীন রিকশায় বারকোড বসানোর প্রস্তাব দেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। রিকশামালিকরা নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে চসিক থেকে বারকোড কিনে নেয়ার বিষয়ে ওই সময় মৌখিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে বারকোডবিহীন রিকশা উদ্ধার করে ধ্বংস করারও সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু মহামারি করোনার কারণে থমকে যায় এ উদ্যোগ। পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে যানজট কমাতে সভায় বসে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ও চসিক। সেই সভায় রিকশার বারকোড বসানোর বিষয়ে পুনরায় সিদ্ধান্ত হয়।


আরও পড়ুন: