ঢাকা শনিবার
২০ এপ্রিল ২০২৪
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মানুষের ব্রেনে ৬ মাসের মধ্যেই চিপ বসবে


ডেস্ক রিপোর্ট
174

প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ১১:১২:৩৭ এএম
মানুষের ব্রেনে ৬ মাসের মধ্যেই চিপ বসবে ফাইল-ফটো



উদ্যোক্তা হিসেবে এলোন মাস্কের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। এখনও পর্যন্ত সবার কাছে পরিচিত তার দুটি উদ্যোগ হলো— টেসলা ও স্পেসএক্স। এগুলোর পাশাপাশি তিনি আরও একটি ভিন্নধর্মী প্রকল্প নিয়ে এগোচ্ছেন। তার নতুন এই প্রকল্পের নাম নিউরালিংক।

ভারতীয় প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম গেজেটস নাউ জানায়, নিউরালিংক হলো এমন একটি প্রকল্প, যার মাধ্যমে মানুষের ব্রেইনে কম্পিউটার চিপ লাগিয়ে দেওয়া হবে। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে ব্রেইন আরও জটিল সব কাজ দ্রুতগতিতে করতে পারবে।

এরই মধ্যে আগামী ছয় মাসের মধ্যে মানুষের মস্তিষ্কে ‘ব্রেইন চিপ’ বসানোর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করবে বলে জানিয়েছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক।

মাস্ক বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছে, যা মানুষের মস্তিষ্কে বসানো যাবে। এ যন্ত্রের সহায়তায় মানুষ কম্পিউটারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।

ব্রেইন চিপ ইন্টারফেসের মাধ্যমে পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও শারীরিক কারণে যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার শিকার মানুষদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে যুগান্তকারী উদ্যোগ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাণীর ওপর এ প্রযুক্তির কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখেছে নিউরালিংক।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, সান ফ্রান্সিসকো ও টেক্সাসভিত্তিক কোম্পানিটি বর্তমানে মানুষের ওপর এ প্রযুক্তির কার্যক্ষমতা পরীক্ষার জন্য মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এফডিএ) অনুমোদনের অপেক্ষা করছে।

তবে এ বিষয়ে এফডিএ’র প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেও তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

বিশ্বের শীর্ষ ধনী মাস্ক বলেন, ‘মানুষের শরীরে ডিভাইস বসানোর আগে আমরা অতি সাবধানতা অবলম্বন করে নিশ্চিত হতে চাই যে এটি কেমন কাজ করবে।’

মাস্ক আরও বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে দুজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর দৃষ্টিশক্তি ফেরানোর চেষ্টা করবে নিউরালিংক। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে জন্মান্ধের দৃষ্টিশক্তি ফেরানোরও আশা করছেন তিনি। বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবেরের আশা, একই প্রযুক্তির মাধ্যমে পারকিনসনস, ডিমেনশিয়া এবং আলঝেইমারের মতো রোগের নিরাময় সম্ভব হবে।

যদিও নিউরালিংক আশানুরূপ গতিতে অগ্রসর হচ্ছে না। ২০১৯ সালেই মাস্ক বলেছিলেন, ২০২০ সালের শেষ নাগাদ নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পাবে তাঁর কোম্পানির প্রযুক্তি। এরপর ২০২১ সালে আবার বলেন, পরের বছরেই মানুষের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের আশা করছেন তিনি।


আরও পড়ুন: