ঢাকা শনিবার
২০ এপ্রিল ২০২৪
২৭ মার্চ ২০২৪

কাতার বিশ্বকাপে সাড়ে চার লক্ষ টাকার 'বিশেষ ঘড়ি'তে যা আছে


খেলা ডেস্ক
159

প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | ০২:১২:৪০ পিএম
কাতার বিশ্বকাপে সাড়ে চার লক্ষ টাকার 'বিশেষ ঘড়ি'তে যা আছে ফাইল-ফটো



ফুটবল খেলায় রেফারিদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটা হলো ঘড়ি। আগে শুধু সময় দেখার জন্য ঘড়ি ব্যবহার করা হলেও কালের ক্রমে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে ঘড়িতে। যেসব বেশ বিস্ময় জাগানিয়া ও চমকপ্রদ।

এবারের কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে আধুনিক সব প্রযুক্তির ব্যবহার বিস্মিত করেছে সবাইকে। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভার) থেকে শুরু করে অফসাইড প্রযুক্তি এগুলোর মধ্যে অন্যতম। রেফারিদের ঘড়িও রয়েছে এর আওতায়।

এ বারের বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনার জন্য মোট ১২৯ জন ম্যাচ পরিচালক রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬ জন রেফারি, ৬৯ জন সহকারী রেফারি এবং ২৪ জন ভার রেফারি। ছ’জন মহিলা রেফারিও রয়েছেন। এদের সবাইকেই এই বিশেষ ঘড়ি দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘ দিন ধরেই ফুটবলের সঙ্গে জড়িত সুইজারল্যান্ডের সংস্থা হাবলট। ম্যাচের এলইডি বোর্ড থেকে শুরু করে আনুসাঙ্গিক অনেক জিনিসই তারা ফিফা কিংবা উয়েফাকে সরবরাহ করে থাকে। এবারও সরবরাহ করেছে বিশ্বকাপের বিশেষ ঘড়ি।

এই ঘড়িগুলো বাজার চলতি দামি স্মার্টওয়াচ থেকেও বেশি প্রযুক্তি রয়েছে। যে তথ্য দরকার সবই ঘড়িতে পেয়ে যাবেন রেফারিরা। এই ঘড়ির প্রত্যেকটার দাম মার্কিন মুদ্রায় ৫,৪৮০ ডলার। বাংলাদেশী টাকায় প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা।

এতে রয়েছে ৪৪ মিমি ডায়াল। ডায়াল সাধারণত কালো সেরামিক এবং কালো টাইটানিয়ামের হয়। স্ট্র্যাপে রয়েছে আয়োজক কাতারের পতাকা। তবে কোনও রেফারি চাইলে অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের যে কোনও একটির পতাকা আঁকাতে পারেন।

ঘড়িতে রয়েছে বিভিন্ন চিপ, যার মধ্যে খেলা চলাকালীন তথ্য পাঠানো হতে থাকে প্রতি মুহূর্তে। বল গোল লাইন পেরোলে, অফসাইড হলে, ভারের রেফারিরা কোনো নির্দেশ দিতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে ঘড়ি কেঁপে (ভাইব্রেট) ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি বুঝতে পেরে যান তাকে কি করতে হবে।

ঘড়ির সংকেত বুঝে প্রয়োজনে তিনি খেলা থামিয়ে দিতে পারেন। এ ছাড়া কোনো ফুটবলারের সম্পর্কে তথ্যের দরকার হলে ভার কিংবা ম্যাচ পরিচালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেটাও পেতে পারেন রেফারি।

বিশ্বকাপের রেফারিদের জন্য এই ঘড়ি উপহার দেওয়া হচ্ছে কাতারে আসা ভিভিআইপি অতিথিদেরও। আসরের জন্য মোট ১০০০টি ঘড়ি তৈরি করা হয়েছে। প্রাক্তন ফুটবলার লুইস ফিগো, মার্সেল দেসাই এই ঘড়ি পেয়েছেন। সাধারণ মানুষের জন্য এখনও বাজারে আনা হয়নি এই ঘড়ি।


আরও পড়ুন: