ঢাকা শনিবার
২০ এপ্রিল ২০২৪
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বুধবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা


ডেস্ক রিপোর্ট
164

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | ০৪:০১:২৪ পিএম
বুধবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ফাইল-ফটো



রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল বুধবার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) কমিশন সভা শেষে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) আইন অনুসারে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আইন অনুযায়ী স্পিকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) কমিশন সভা শেষে রাষ্টপ্রতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।

প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন তার পদে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ কার্যভার গ্রহণ করেন ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল। সে হিসেবে আগামী ২৩ এপ্রিল তার দায়িত্বের পাঁচ বছর শেষ হচ্ছে।

এদিকে সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটার হয়ে থাকেন সংসদ সদস্যরা। এ কারণে সংসদে বৈঠকের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বর্তমান সংসদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নিয়োগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এ জন্য আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রার্থী দেয়ার সম্ভাবনা নেই। আর রাষ্ট্রপতি পদে যদি একজন প্রার্থী থাকে তাহলে এ নির্বাচনের জন্য সংসদের বৈঠক বা ভোটের প্রয়োজন হবে না।

সংবিধানে যা আছে-

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে ঐ পদ শূন্য হলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী ষাট থেকে নব্বই দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া, ৪৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি থাকবেন, যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি পঁয়ত্রিশ বছরের কম বয়স্ক হন; অথবা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য না হন, অথবা কখনো এই সংবিধানের অধীন অভিশংসন দ্বারা রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারিত হয়ে থাকেন।

অন্যদিকে ৫০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সংবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদে তার পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন। তবে শর্ত থাকে, রাষ্ট্রপতির পদের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তার উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি স্বীয় পদে বহাল থাকবেন।

আবার একাদিক্রমে হউক বা না হউক-দুই মেয়াদের অধিক রাষ্ট্রপতির পদে কোনো ব্যক্তি অধিষ্ঠিত থাকবেন না। স্পিকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে রাষ্ট্রপতি স্বীয় পদত্যাগ করতে পারবেন।

রাষ্ট্রপতি তার কার্যভারকালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হবেন না এবং কোনো সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে রাষ্ট্রপতিরূপে তার কার্যভার গ্রহণের দিনে সংসদে তার আসন শূন্য হবে।

নির্বাচন পদ্ধতি:

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ‘নির্বাচনী কর্তা’ হিসেবে এ নির্বাচন পরিচালনা করবেন। এজন্য একটি জাতীয় সংসদ কক্ষে সংসদ সদস্যের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে নির্বাচনী কর্তা সভাপতিত্ব করবেন।

সংসদের অধিবেশন চলাকালে নির্বাচনের প্রয়োজন হলে কমিশন ভোট গ্রহণের ন্যূনতম সাতদিন আগে স্পিকারের সঙ্গে আলোচনা করে ভোটের সময়সূচি নির্ধারণ করবে। আর সংসদ অধিবেশন না থাকলে ভোট গ্রহণের দিনে স্পিকারের সঙ্গে ন্যূনতম সাতদিন আগে আলোচনা করে সংসদের বৈঠক সরকারি প্রজ্ঞাপন দ্বারা আহ্বান করবে।

রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মনোনয়নপত্রে একজন সংসদ সদস্যের প্রস্তাবক ও একজন সংসদ সদস্যের সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষর থাকতে হবে। এছাড়া যিনি মনোনীত হবেন মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সম্মতিসূচক তারও একটি বিবৃতি থাকতে হবে। এ নির্বাচনে ভোটার হবেন সংসদ সদস্যরা। কমিশন একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে।

বৈধ একাধিক প্রার্থী থাকলে এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন শেষে একাধিক প্রার্থী থাকলে সংসদের বৈঠকে নির্ধারিত দিনে দুপুর ১২টার পর ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণ যেমন প্রকাশ্যে হবে, তেমনি ভোট গণনাও প্রকাশ্যে অনুষ্ঠিত হবে। সর্বোচ্চ ভোট যদি একাধিক প্রার্থী পেয়ে যান, তবে তাদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনার ভোটের ফলাফল নির্ধারণ করবেন। ফলাফল ঘোষণার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণাই চূড়ান্ত।


আরও পড়ুন: