ঢাকা বৃহস্পতিবার
২৫ এপ্রিল ২০২৪
২৭ মার্চ ২০২৪

ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলে তিন বাঙালি কন্যা


ডেস্ক রিপোর্ট
173

প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ | ০২:০১:১৮ পিএম
ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলে তিন বাঙালি কন্যা ফাইল-ফটো



দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই ট্রফি ঘরে তুলেছে ভারত। ফাইনালে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সেরার শিরোপা নিজেদের করে নেয় ভারতের মেয়েরে। তিন বাঙালি কন্যার দাপুটে পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা পশ্চিমবঙ্গও।

প্রথম ঝলকে তিতাসের বোলিং অ্যাকশন দেখলে মনে হবে যেন, ঝুলন গোস্বামীর ছোটবেলা। পচেফস্ট্রুম তৈরি করেছে বাইশ গজের নতুন ইতিহাস। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে শিকার করেছে ২ উইকেট। ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারকে একাই ধসিয়ে দেন তিতাস।

ভারতীয় বোলারদের দাপটে ফাইনাল ইংল্যান্ড মাত্র ৬৮ রানে ধরাশায়ী হয়। এরপর টিম ইন্ডিয়া ৩৬ বল বাকী থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। ফাইনালে ম্যাচের সেরা হয়েছে ভারতের একমাত্র পেসার তিতাস সাধু।

দক্ষিণ আফ্রিকায় তিতাসের হাতে এই পুরস্কার তুলে দিতে না দিতেই পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়ায় খুশির বন্যা বইতে শুরু করে। মেয়ের সাফল্যের উচ্ছ্বসিত বাবা রণদীপ সাধু ও মা ভ্রমর মল্লিক। তিতাসের বাড়িতে সবাই মোবাইলেই খেলা দেখছিলেন। দল জেতার পরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তারা।

তবে এদিন তিতাস ছাড়াও বাংলার আরও দুই তারকা ক্রিকেটার প্রথম একাদশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। উইকেটের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন রিচা ঘোষ। একেবারে শেষের দিকে নেমে অপরাজিত থাকেন বাংলার আর এক কন্যা হৃষিতা বসু।

ভারতের জয়ের পর শিলিগুড়ির হাতিমোড়ে রিচার বাড়িতেও আনন্দের রেশ। সিনিয়র নারী দলের নিয়মিত সদস্য রিচা এবার অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ডাক পেয়ে ফেলতে পারেননি। ফাইনালে রিচা ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পেলেও তিনি একটা স্টাম্প করেছেন ও উইকেটের পিছনে তাকে বেশ স্বচ্ছন্দ দেখিয়েছে।

টিভির সামনে বসেই বিশ্বকাপের সমস্ত খেলা দেখেছে রিচার পরিবারের সকল সদস্যরা। ম্যাচের শেষে বাড়ির সবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেছেন রিচা। রিচার মা জানান মেয়ে বাড়িতে ফিরলে এই জয় আবারও উদযাপন করা হবে।

এদিকে ম্যাচ শেষ হতেই রংমশাল ও আতসবাজিতে ছেয়ে গিয়েছিল হাওড়ার মেয়ে হৃষিতা বসুর বাড়ির অলিগলি। হৃষিতা বসুর হাওড়ার বিবেকানন্দ পল্লীর বাড়িতে জয়ের আনন্দে পালিত হয় অকাল দীপাবলি। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মিষ্টি বিতরণ করা হয় বাড়ির আশেপাশে।

হৃষিতার মা মালবিকা বসুর বলেন, ‘মেয়ে তো মোটামুটি নিশ্চিতই ছিল যে, ওরাই চ্যাম্পিয়ন হবে। মেয়ের আত্মবিশ্বাস দেখে সত্যিই ভালো লাগছিল। কিন্তু ভীষণ টেনশন হচ্ছিল। এই মুহূর্তটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।’


আরও পড়ুন: