ঢাকা শুক্রবার
২৬ এপ্রিল ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

হারের বৃত্তে বাংলাদেশ


খেলা ডেস্ক
159

প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০২২ | ০৩:১০:৩০ পিএম
হারের বৃত্তে বাংলাদেশ ফাইল-ফটো



ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় টাইগাররা। মাঠের লড়াইয়ে ফিরেন সাকিব। তবুও পরাজয়ের গণ্ডি থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ দল। কিউইদের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা।

রোববার (৯ অক্টোবর) ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে তৃতীয় ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তুলে টাইগাররা। জবাবে ১৭.৫ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড।

এর আগে ১৩৮ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখেশুনেই শুরু করে স্বাগতিকরা। তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের প্রথম ওভারে অবশ্য দশ রান তোলেন দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন এবং কনওয়ে। দ্বিতীয় ওভার থেকে লাগাম টানে তারা। দ্বিতীয় ওভারে ৩, তৃতীয় ওভারে ২ রান নেয় তারা।

ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আবারও আগ্রাসী খেলে নিউজিল্যান্ড। শরিফুল ইসলামকে কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেনকে ছক্কাও মারেন। কিন্তু এর এক বল পর আবারও ছক্কা মারতে গিয়ে সাজঘরে ফিরে যান অ্যালেন। ডিপ স্কয়ার লেগে অ্যালেনের ক্যাচ ধরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ফেরার আগে করেন ১৮ বলে ১৬ রান। পাওয়ার প্লে'তে নিউজিল্যান্ড তোলে এক উইকেটে ৪০ রান।

দলীয় ২৪ রানে অ্যালেন ফিরে যাওয়ার পর পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজ হাতে নিয়ে নেন কনওয়ে। অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টায় থাকেন তিনি। দেখতে দেখতে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেন তিনি। অপরপ্রান্তে খানিকটা রয়েসয়েই খেলেন উইলিয়ামসন। দুজনে মিলে জুটি গড়েন ৮৫ রানের।

১৫তম ওভারের শেষ বলে হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে উইলিয়ামসন ফিরে গেলে এই জুটি ভাঙে, ফেরার আগে ২৯ বলে এক বাউন্ডারিতে ৩০ রান করেন কিউই দলপতি।

বাকি কাজটা সহজেই সারেন কনওয়ে এবং গ্লেন ফিলিপস। ৫১ বলে সাতটি চার ও একটি ছক্কায় অপরাজিত ৭০ রান করেন কনওয়ে। ৯ বলে দুটি চার ও দুটি ছক্কায় ফিলিপস করেন অপরাজিত ২৩ রান। ১৮তম ওভারে শরিফুলকে টানা দুই ছক্কায় খেলা শেষ করেন ফিলিপস।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ১২ রানেই মিরাজের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তিনি টিম সাউদির বলে মিড উইকেটে অ্যাডাম মিলনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মাত্র ৫ রান করে।

এরপর লিটনের সঙ্গে জুটি বাধেন শান্ত। সাবলীল ব্যাটিং করেন এই বাঁ-হাতি।  একের পর এক চারে স্ট্রাইক রোটেড করে বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন তিনি। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল এক উইকেট হারিয়ে ৪১ রান। পাওয়ার প্লের পর অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন। তিনি ১৬ বলে ১৫ রান করে মিচেল ব্রেসওয়েলের বলে তাকেই শার্প ক্যাচ দিয়েছেন।

এরপর শান্ত ব্যক্তিগত ৩৩ রানে আউট হয়েছেন ইস সোধিকে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে। এই ইনিংস খেলার পথে চারটি চার মেরেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। যা বাংলাদেশের পক্ষে ইনিংসে সর্বোচ্চ। ইস সোধির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেন মোসাদ্দেক। আগের ম্যাচে দারুণ খেলা ইয়াসির আলী রাব্বি এদিন উইকেটে থিতু হতে পারেননি। ব্রেসওয়েলকে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৯ বলে ৭ রান করে ফিরেছেন রাব্বি। তিনি ক্যাচ দিয়েছেন মিলনেকে।

একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ খেলতে থাকলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ। তিনি ২৬ বলে ২৪ রান করে বোল্টের বলে বোল্ড হয়েছে। ব্যাটিং অর্ডার বদলে এদিন ৭ নম্বরে নেমেছিলেন সাকিব। ১৬ বলে ১৬ রান করে তিনি সাউদির বলে গাপটিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন।

শেষদিকে তাসকিন আহমেদ টপ এজ হয়ে বোল্টের বলে চ্যাপম্যানকে ক্যাচ দিয়েছেন। একপ্রান্ত ধরে রেখে সোহান মাত্র ১২ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। এই ইনিংস খেলার পথে সোহান দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরেছেন।


আরও পড়ুন: