ঢাকা শুক্রবার
২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৮ এপ্রিল ২০২৪

১৪ ঘণ্টার তল্লাশি চালিয়ে আমির খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হলো ১৭ কোটি রুপি


ডেস্ক রিপোর্ট
169

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০৬:০৯:৪৫ পিএম
১৪ ঘণ্টার তল্লাশি চালিয়ে আমির খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হলো ১৭ কোটি রুপি ফাইল-ফটো



ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আমির খান নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ১৪ ঘণ্টার বেশি সময় তল্লাশি চালিয়েছে দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের কলকাতার ছয় জায়গায় তল্লাশি শুরু করে ইডি। দীর্ঘ অভিযানের পর গার্ডেনরিচে আমিরের বাড়ি থেকে নগদ ১৭ কোটি ৩২ লাখ রুপি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া নিউটনের অফিস থেকে আরও কয়েক কোটি রুপি উদ্ধার করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইডি সূত্রে জানিয়েছে, শনিবার সকালে ব্যাংককর্মীরা গার্ডেনরিচের আমিরের বাড়িতে রুপি গোনার কাজ করছিলেন। পাশাপাশি বাড়িতে আরও টাকা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডির কর্মকর্তারা। সকাল থেকে রাত গড়িয়ে গেলেও নোট গোনার মেশিনে আমিরের বাড়ি থেকে রুপি গোনার কাজ চলতেই থাকে। এরপর ট্রাঙ্কে ভরে নগদ অর্থ ট্রাকে তোলা হয়। ওই ট্রাঙ্কগুলোতে ভরেই নেয়া হয়েছে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ।

ইডি সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া অর্থের পরিমাণ ১৭ কোটি ৩২ লাখ রুপি। এই অর্থ উদ্ধারের পর আমিরের বাড়ির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কোথা থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ এলো তা খতিয়ে দেখবে ইডি।

জানা গেছে, একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নামে ইডি। সংস্থাটি গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলি, পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুরের বন্দর এলাকা, নিউটাউন-সহ শহরের ছয় জায়গায় অভিযান চালায়। কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানেরা। অভিযানের সময় তাদের আমিরের বাড়ির বাইরে মোতায়েন রাখা হয়। আর ভেতরে চিরুনি তল্লাশি চলতে থাকে।

গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলিতে আমিরের দোতলায় পৌঁছায়  ইডির কর্মকর্তারা। কয়েক ঘণ্টা তল্লাশির পর প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো নোটের বান্ডিলের পর বান্ডিল বেরিয়ে আসে। জানা গেছে, বান্ডিলে মোড়ানো ৫০০ রুপির ব্যাংকনোট ছিল। এগুলো প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে মুড়িয়ে খাটের তলায় রাখা ছিল। ব্যাগগুলোয় দুই হাজার রুপির কিছু বান্ডিলও ছিল। বান্ডিলগুলো গুনতে এক সময় স্টেট ব্যাংকের কর্মীরা আসে। আটটি মেশিনও আনা হয়। এক সময় আমির বাড়ির দরজার বাইরে ১০টি স্টিলের ট্রাঙ্ক ভরা ট্রাক আসে। রাতের দিকে আরও কয়েকটি ট্রাঙ্ক আনা হয়।

আমির খানসহ একাধিক ব্যক্তি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে অনেক গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি এফআইআর করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইডি। এফআইআরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৪৬৮, ৪৭১, এবং ৩৪ ধারায় প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গসহ একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে।


আরও পড়ুন: