ঢাকা বৃহস্পতিবার
২৫ এপ্রিল ২০২৪
১৮ এপ্রিল ২০২৪

অতি গোপনীয় নথি ফাঁস আমেরিকার নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি: পেন্টাগন


ডেস্ক রিপোর্ট
217

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২৩ | ০৫:০৪:৩৮ এএম
অতি গোপনীয় নথি ফাঁস আমেরিকার নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি: পেন্টাগন ফাইল-ফটো



সম্প্রতি ডজন ডজন অতি গোপণীয় নথি অনলাইনে ফাঁস হওয়ার কারণে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনা সদরদফতর পেন্টাগন।

সেক্রেটারি অব ডিফেন্স ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স-এর সহকারী ক্রিস মাহার সোমবার একথা বলেন। তিনি বলেন, “কীভাবে এসব তথ্য ফাঁস হলো তা নিয়ে আমরা এখনও তদন্ত করছি। গোপণ নথি ফাঁসের বিষয়ে এরইমধ্যে মার্কিন আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় তদন্ত শুরু করেছে।”

সম্প্রতি আমেরিকা ও তার মিত্রদের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সামরিক এবং গোয়ন্দা বিষয়ক অতি গোপণীয় নথি ফাঁস হয়েছে যা টুইটার, টেলিগ্রাম, ডিসকর্ড এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

 

অনলাইনে প্রকাশিত অতি গোপনীয় সামরিক ও গোয়েন্দা নথিগুলো কোন মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সেটি খোঁজা শুরু করেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সংক্রান্ত তথ্য সংবলিত নথিগুলো ফাঁসের উৎস খুঁজে বের করতে তড়িঘড়ি করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।

দেশটির কিছু নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তার সন্দেহ, যুক্তরাষ্ট্রের ভেতর থেকে কেউ একজন এ ফাঁসে জড়িত থাকতে পারে।

আমেরিকার কর্মকর্তারা বলছেন, নথিগুলোতে থাকা বিষয়ের ব্যাপ্তি (ইউক্রেন যুদ্ধ, চীন, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা) দেখে মনে হচ্ছে মিত্র কেউ নন, এগুলো প্রকাশ করেছেন একজন আমেরিকান।

এ বিষয়ে রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পেন্টাগনের সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মাইকেল মুলরয় বলেন, এখন মূল দৃষ্টি এতসব নথি যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে ফাঁস হওয়া নিয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, নথি ফাঁস হওয়া নিয়ে তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। অনুসন্ধানকারীরা ফাঁসের পেছনে রুশপন্থি অংশের জড়িত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসে ২০১৩ সালে প্রকাশিত সাত লাখের বেশি নথি, ভিডিও ও কূটনৈতিক তারবার্তার পর সাম্প্রতিক ফাঁসকেই সবচেয়ে বড় অনধিকার প্রবেশের ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রয়টার্সের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ওয়াশিংটনে রুশ দূতাবাস কিংবা রুশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।


আরও পড়ুন: