ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
৩১ অক্টোবর ২০২৪

কারাবন্দী নার্গিসের হয়ে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করলো যমজ সন্তানরা


ডেস্ক রিপোর্ট
204

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০৫:১২:৩৩ পিএম
কারাবন্দী নার্গিসের হয়ে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করলো যমজ সন্তানরা ফাইল-ফটো



ইরানের কারাবন্দী মানবাধিকার-কর্মী নার্গিস মোহাম্মদীর পক্ষে তার দুই যমজ সন্তানের হাতে নোবেল শান্তি পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। নরওয়ের অসলোতে এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
 ইরানে নিপীড়িত নারীদের জন্য নার্গিস মোহাম্মদীর সংগ্রাম এবং সবার মানবাধিকার ও স্বাধীনতার জন্য তার যে লড়াই, তারই স্বীকৃতিতে গত ৬ অক্টোবরে ১০৪তম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য তার নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। 
রোববার (১০ ডিসেম্বর) নোবেল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কারাবন্দী মায়ের লিখিত বক্তব্য পড়ে শুনিয়েছেন নার্গিসের দুই সন্তান কিয়ানা ও আলি। খবর- বিবিসি।
বক্তব্যে নার্গিস ইরানের ‘নিপীড়ক’ সরকারের নিন্দা করেছেন। বলেছেন, ইরানের জনগণ ঐকান্তিকতার মধ্য দিয়ে নিপীড়ন, স্বেচ্ছাচারকে জয় করবে, এতে কোনও সন্দেহ নেই।” ইরানের কুখ্যাত ইভেন কারাগার থেকে নার্গিস এই লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আর নারী অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে নার্গিস বহুবার গ্রেপ্তার হয়েছেন, পেয়েছেন জীবনের অর্ধেকের বেশি সময়ের কারা-দণ্ডাদেশ, অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে এখনও কারাবন্দী আছেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচার চালানোসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা ও মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কাজ করায় তাকে বারবার কারাগারে যেতে হয়েছে।
শনিবার তার স্বামী রহমানি বিবিসি হার্ড-টককে বলেছেন, তার স্ত্রী একবার তাদের সন্তানদের কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন যেখানে সন্তানদের উদ্দেশে বলা ছিল, ‘তাদের মা হতে না পারায় আশা করি তারা ক্ষমা করবে।’ 
মানবাধিকার আন্দোলনের মুখ হিসাবে পরিচিত নার্গিস মোহাম্মদী ২০১৫ সাল থেকে তিনি ইরানের জেলে বন্দি। 
তেহরানের কুখ্যাত ইভেন কারাগারে বর্তমানে বন্দি থাকা ৫১ বছর বয়সী নার্গিস মোহাম্মাদি পেশায় লেখক ও প্রথম সারির একজন মানবাধিকার-কর্মী। নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা ও মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কাজ করায় তাকে বেশিরভাগ সময় কারাগারে থাকতে হয়েছে। তাকে ১৩ বার গ্রেফতার করা হয়েছে। পাঁচবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তাকে ৩১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এমনকি শরিয়াহ্ আইন অনুসারে ১৫৪ বার বেত্রাঘাতও করা হয়েছে। বন্দি অবস্থা থেকে মেলেনি মুক্তি।
২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী শিরিন এবাদির প্রতিষ্ঠা করা ‘ডিফেন্ডারস অফ হিউম্যান রাইটস সেন্টারের’ ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আছেন নার্গিস মোহাম্মদী। এবছর বিবিসি’র বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকাতেও আছে তার নাম।


আরও পড়ুন: