মিয়ানমারে সঙ্গীত উৎসবে বিমান হামলা
ডেস্ক রিপোর্ট
265
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২২ | ০৩:১০:৪৪ পিএম
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য কাচিনে এক সঙ্গীত উৎসবে দেশটির সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) কাচিনের হপাকান্ত শহরে সঙ্গীত উৎসবে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে। স্পেনে নির্বাসিত মিয়ানমারের একজন সাংবাদিক তার ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে কাচিনে জান্তার বিমান হামলার তথ্য জানিয়েছেন।এছাড়া থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি ও চীনা সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনও এই বিমান হামলার তথ্য প্রকাশ করেছে। তবে সেখানে বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা ৩০ জনের বেশি বলে জানানো হয়েছে।
কাচিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কাচিন নিউজ গ্রুপের বরাত দিয়ে সিজিটিএন বলছে, কাচিন প্রদেশের হপাকান্ত শহরে অনুষ্ঠিত সঙ্গীত উৎসবে রোববার বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কাচিন জাতিগোষ্ঠীর অনেক বিনোদনকারী ও শিল্পীসহ ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
এদিকে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বিষয়টি সামনে আনেন মিয়ানমারের নির্বাসিত সাংবাদিক মরাট কিয়াও থু। সোমবার সকালে এক টুইটে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় গত রাতে হপাকান্ত শহরের বিখ্যাত স্থানীয় কাচিন শিল্পী এবং কেআইএ সৈন্যসহ কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশনের ৬২তম মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন।’
[caption id="attachment_5720" align="alignnone" width="731"] ফাইল-ছবি[/caption]
পরে আরেক টুইটে বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা ৫০ জনেরও বেশি বলে জানান কিয়াও থু। তিনি বলেন, ‘আপডেট: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনেরও বেশি হয়েছে এবং এখনও গণনা চলছে। মৃতের সংখ্যা নিয়ে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশনের (কেআইও) আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও প্রকাশিত হয়নি।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের কাচিন, শান-সহ বেশ কিছু প্রদেশ ফের অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের জাতিগত সংখ্যালঘু বিভিন্ন গোষ্ঠী মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের বিরোধিতা ও বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
এরপর থেকে মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। জাতিগত সশস্ত্র কাচিন বিদ্রোহী অধ্যুষিত এসব এলাকায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতিও আগের তুলনায় বিভিন্ন সময়ই বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও
ইলেক্টোরাল ভোট: কমলা ১০৯, ট্রাম্প ১৯৮
০৬ নভেম্বর ২০২৪
স্পেনের রাজা-প্রধানমন্ত্রীকে কাদা ছুড়লেন ক্ষুব্ধ জনতা
০৪ নভেম্বর ২০২৪
স্পেনের রাজা-প্রধানমন্ত্রীকে কাদা ছুড়লেন ক্ষুব্ধ জনতা
০৪ নভেম্বর ২০২৪
কার ভাগ্যে হোয়াইট হাউস, ট্রাম্প না কমলা
০৪ নভেম্বর ২০২৪
গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় শিশুর প্রাণ ঝরেছে অর্ধশতাধিক
০৪ নভেম্বর ২০২৪
স্পেনে আকস্মিক বন্যা,মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫
৩১ অক্টোবর ২০২৪