ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
৩০ এপ্রিল ২০২৪

লোডশেডিং কমেছে, স্বস্তি বৃষ্টিতে


ডেস্ক রিপোর্ট
192

প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৩ | ১২:০৬:৩০ পিএম
লোডশেডিং কমেছে, স্বস্তি বৃষ্টিতে ফাইল-ফটো



বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে রাজধানীসহ পুরো দেশজুড়ে। এর মধ্য দিয়ে ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি মেলায় কমেছে এসি ও ফ্যানের ব্যবহার। ফলে কমেছে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পনিগুলো এমনটাই বলছে। বৃষ্টির পর ঢাকার তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। গত কয়েকদিন ধরে যা ছিল ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দেশের তাপমাত্রাও বৃষ্টির কারণে অন্তত ৪-৫ ডিগ্রি কমেছে। এতে বিদ্যুতের চাহিদা কমে গেছে। এর সঙ্গে সরকারের পদক্ষেপে বিদ্যুতের উৎপাদনও কিছুটা বেড়েছে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় দেশের কোনো কোনো এলাকা লোডশেডিংয়ের আওতার বাইরে ছিল। এরমধ্যে ঢাকার দুই বিতরণ কোম্পানি কোনো লোডশেডিং দেয়নি। দেশের অন্যান্য এলাকাতেও বিদ্যুৎ পরিস্থিতির আশাব্যঞ্জক উন্নতি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত অনেক এলাকাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকতে দেখা গেছে। সারাদেশে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ৭৭২ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে।

ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টার বলছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ঢাকায় ডেসকোর ১ হাজার ১৩০ মেগাওয়াট ও ডিপিডিসির ১ হাজার ৫৬৪ মেগাওয়াট চাহিদার পুরোটাই সরবরাহ করা হয়েছে। ঢাকার আরইবি এলাকায় ২ হাজার ২৭৪ মেগাওয়াটের পুরোটাই সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পিডিবির চাহিদা ছিল ১ হাজার ৭৫ মেগাওয়াট ও আরইবির চাহিদা ছিল ৪০৯ মেগাওয়াট।

এনএলডিসি বলছে, চাহিদার পুরোটাই সরবরাহ করা হয়। ফলে কোথাও লোডশেডিং হয়নি। লোডশেডিংয়ের বাইরে ছিল খুলনাও। ওয়েস্টজোন ৫৪৩ মেগাওয়াট ও আরইবির ১ হাজার ৩৫১ মেগাওয়াট চাহিদার পুরোটা সরবরাহ করেছে। বরিশালে লোডশেডিং ছিল মাত্র ২ মেগাওয়াট। বরিশালে ওয়েস্টজোনে ১৩১ চাহিদার পুরোটাই সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া আরইবির ৩৬৬ মেগাওয়াট চাহিদার মধ্যে সরবরাহ করা হয় ৩৬৪ মেগাওয়াট। কুমিল্লায় পিডিবির ৩২৪ ও আরইবির ১ হাজর ৭৮ মেগাওয়াটের পুরোটা সরবরাহ করা হয়েছে। যদিও ময়মনসিংহে লোডশেডিং হয়েছে ৪০ মেগাওয়াট। তবে পিডিবির ৬৬৭ মেগাওয়াটের মধ্যে ৪২৭ মেগাওয়াট সরবরাহ ছিল। আরইবির ৯৯৪ মেগাওয়াটের স্থলে সরবরাহ হয়েছে ৭২১ মেগাওয়াট, লোডশেডিং ছিল ২৭৩ মেগাওয়াট। সিলেটে পিডিবির ১৯৯ মেগাওয়াটের মধ্যে সরবরাহ ছিল ১৯০ মেগাওয়াট। মাত্র ৯ মেগাওয়াট লোডশেডিং ছিল। অন্যদিকে আরইবির ১৩৫১ মেগাওয়াটের মধ্যে ১৩২৯ মেগাওয়াট সরবরাহ ছিল। লোডশেডিং ছিল ২২ মেগাওয়াট। রাজশাহীতে নেসকোর ৪৮৫ মেগাওয়াট চাহিদার ৪৫৫ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয়েছে। মাত্র ৩০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়। এছাড়া আরইবির ১ হাজার ১৭২ মেগাওয়াট চাহিদার মধ্যে ১ হাজার ৪৫ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয়েছে। লোডশেডিং হয়েছে ১২৭ মেগাওয়াট। রংপুরে নেসকোর ৩৫১ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ২৯৫ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া আরইবির ৭২৫ মেগাওয়াটের স্থলে ৫৫২ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরী পাড়া ইকরা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা আশফিকুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, তাদের বাসায় গত বৃহস্পতিবার কোনো লোডশেডিং হয়নি। তবে গতকাল সকালে বিদ্যুৎ ছিল না। তবে তা লোডশেডিং নয়। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার বিকল হওয়ায় তা সারাতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল না। কিন্তু দুপুরের পর তা ঠিক হয়ে আসে।

 


আরও পড়ুন: