ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
৩০ এপ্রিল ২০২৪

হেমন্ত এলো


ডেস্ক রিপোর্ট
118

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ | ১০:১০:২৫ এএম
হেমন্ত এলো ফাইল-ফটো



ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। পালা করে এক ঋতু যায় আর অন্যটি আসে। আর একটি ঋতু পুরোপুরি যাওয়ার আগেই হাজির হয় পরবর্তী ঋতু আসার আগমনী বার্তা। আজ কার্তিকের পহেলা দিন। চারদিকে কুয়াশার মৃদু আবরণ আর নতুন ধানের মিষ্টি গন্ধ জানান দিচ্ছে হেমন্তের উপস্থিতি।

অবশ্য গরম ও শীত এ দুয়ের মেলবন্ধন থাকে হেমন্তে। হেন্তের প্রথম দিকে ভোরে দেখা মেলে হালকা কুয়াশা এবং শিশিরে ভিজে থাকে ঘাস। তারপর সূর্যের তীব্রতাও যেন বাড়ে, অনুভূত হয় গরম। হেমন্তের শেষে আস্তে আস্তে জানান দেয় আসছে শীত। এ সময় খেজুরের রস সংগ্রহে প্রস্তুতি নেয় গাছিরাও।

শাশ্বত গ্রামীণ ঐতিহ্যও তখন নবপ্রাণ পায়। পিঠা, পুলির সঙ্গে নানা ধরনের গ্রামীণ খাদ্য ও সামগ্রী, কুটির শিল্পজাত দ্রব্যাদিতে ভরপুর হয়ে যায় গ্রাম্য মেলা আর হাট-বাজারগুলো। মাছ ধরার আয়োজনও চলে তখন। গ্রীষ্মের খরতাপহীন আর শীতের তীব্রতাহীন জীবন-যাপন মোহনীয় আলো-ছায়ার মায়ায়-মায়ায় বয়ে চলে যায় হৈমন্তী  অমরাবতীর অমৃতলোকে।

হেমন্তে সন্ধ্যাগুলো খুব তাড়াতাড়ি চলে যেতে চায় রাতের কোলে। দিন ও রাত্রির প্রহরে প্রহরে হেমন্ত এঁকে দেশ প্রকৃতির নিজস্ব বৈভব ও স্বাতন্ত্র্য। মখমল মসৃণ হাওয়ার স্বিগ্ধতায় ঋদ্ধ হয় মন-প্রাণ। প্রকৃতি বড় বেশি মায়াবী রূপ লাভ করে হেমন্তে। গ্রীষ্মের রূঢ়তা নেই, নেই শীতের আড়ষ্ঠতা, মাঝামাঝি এক অনির্বচনী পুলক স্পর্শ দিয়ে হেমন্ত  মানুষের দেহে ও চৈতন্যে আনে স্বর্গীয় অনুভূতি। প্রকৃতি ও মানুষ  জীবনের আনন্দধ্বনি ও মঙ্গলালোকে স্নাত হয় কার্তিকে, হেমন্তে।


আরও পড়ুন:

বিষয়: