ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
৩০ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামে চালু হলো স্মার্ট স্কুলবাস, শিক্ষার্থীদের অবস্থান জানা যাবে ক্ষুদে বার্তা


ডেস্ক রিপোর্ট
101

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ০৩:১১:১০ পিএম
চট্টগ্রামে চালু হলো স্মার্ট স্কুলবাস, শিক্ষার্থীদের অবস্থান জানা যাবে ক্ষুদে বার্তা ফাইল-ফটো



চট্টগ্রামে স্কুল শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়ায় চালু হয়েছে স্মার্ট বাস সার্ভিস।
স্মার্ট স্কুল-বাস চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসহনীয় যানজট, অভিভাবকদের ভোগান্তি, অধিক যাতায়াত খরচ, জ্বালানি অপচয়, সড়ক দুর্ঘটনা, অনিরাপদ স্কুল যাত্রাসহ অভিভাবকদের কর্ম-ঘণ্টা নষ্ট হওয়ার মতো সমস্যার সমাধান হবে।
সোমবার দুপুরে ডিজিটাল হাজিরা যন্ত্রের সামনে স্মার্ট কার্ড চেপে স্মার্ট বাসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ. তোফায়েল ইসলাম। এর আগে স্মার্ট স্কুল-বাসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা দুশ্চিন্তা-মুক্ত হতে পারবেন। এ ছাড়া সড়কে যানজটও অনেক কমে যাবে।
এ সেবার আওতায় আগামী জানুয়ারিতে নতুন শিক্ষাবর্ষে নগরীর বিভিন্ন রুটে ১০টি বাস চালানোর পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সোমবার শুরুতে একটি বাস উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার চট্টগ্রাম নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম মাঠ থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে একটি ‘স্মার্ট স্কুল-বাস’। এ সময় বাসে চট্টগ্রাম নগরের ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী ছিল। তাঁদের প্রত্যেকেই স্মার্ট কার্ড চেপে বাসে ওঠে।
মঙ্গলবার সকালে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাসটি সড়কে চলাচল করবে। চলতি বছরের জন্য বাসগুলোতে প্রতি শিক্ষার্থী ৫ টাকা মূল্যে যাতায়াত সুবিধা পাবে বলে জেলা প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক জানান, নগরের ১০টি স্কুল বাসে জিপিএস ট্র্যাকার, জিআইএস প্রযুক্তি, ডিজিটাল হাজিরা ডিভাইস ও আইপি ক্যামেরা স্থাপন করে এসব বাসকে ‘স্মার্ট’ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা বাসে উঠা বা নামার সময় হাজিরা যন্ত্রের সামনে স্মার্ট কার্ড চাপ দিলেই খুদে বার্তা যাবে অভিভাবকদের মোবাইলে। এছাড়া ঘরে বসেই জিপিএস ট্যাকিং ও সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে বাস ও শিক্ষার্থীর অবস্থানও দেখতে পারবেন অভিভাবকরা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষাবিদ আবুল মোমেন বলেন, প্রকল্পটি চালু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, তবে এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণে এই প্রকল্প দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং শিক্ষার্থীরা আরও বেশি লাভবান হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন রাশেদ মোস্তফা, জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ. আবদুল মালেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ. সাদি উর রহিম, চট্টগ্রাম নগরের ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা।


আরও পড়ুন: