ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
৩০ এপ্রিল ২০২৪

‘ইফতার’ পেল ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি


ডেস্ক রিপোর্ট
115

প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০৫:১২:১২ পিএম
‘ইফতার’ পেল ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি ফাইল-ফটো



রমজান মাসে সারাদিন না খেয়ে সংযম পালনের পর সন্ধ্যায় যে পানীয় ও খাবার খেয়ে মুসলমানরা রোজা ভাঙেন, সেই ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা  (ইউনেস্কো)।
বুধবার এই স্বীকৃতি দিয়ে ইফতারকে বিশ্বের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে তুলে ধরেছে জাতিসংঘের সংস্থাটি।


আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইফতারকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যৌথভাবে আবেদন করে ইরান, তুরস্ক, আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান।
লিখিত এক ঘোষণায় ইউনেস্কো বলেছে, সন্ধ্যায় এ সময়টিকে অনেক দেশে মুসলমানরা জমায়েত হওয়ার এবং একসঙ্গে খাওয়ার উপলক্ষ হিসেবে গ্রহণ করে। এর মাধ্যমে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয়। এটি দান, সামাজিক বিনিময় ও সংহতি বাড়াতে ভূমিকা রাখে। 
রমজান মাসে রোজা রাখেন না এমন লোকজনও ইফতারের আচার-অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ইফতার প্রস্তুত, বানানো ইত্যাদি কাজকে কেন্দ্র করে পরিবারের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা সঞ্চারিত হয়।
এ সময় প্রায়ই শিশু ও তরুণদের ঐতিহ্যবাহী খাবারের উপাদান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই কাজ চলার সময় বাবামায়েরা রোজা রাখার উপকারিতা এবং ইফতারের সামাজিক মূল্য ও ভূমিকা সম্পর্কিত জ্ঞানও ছড়িয়ে দেন।

  
কিছু মুসলিম দেশে চা ও খেজুরের মাধ্যমে ইফতার খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। ইফতারের সময় যে খাবার গ্রহণ বা পরিবেশন করা হয় সেটি দেশ ভেদে ভিন্ন হয়।
সংস্থাটি মনে করে, এই ধর্মীয় রীতি পরিবার ও সমাজিক বন্ধন দৃঢ় করে এবং দান, সৌহার্দ্যের মতো বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসে। 
এদিকে, একইদিনে ইউনেস্কোর ‘অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের’ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ঢাকার রিকশা ও রিকশা-চিত্র।
আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে শহরে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ সংরক্ষণ-বিষয়ক ২০০৩ কনভেনশনের চলমান আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন:

বিষয়: