ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
৩০ এপ্রিল ২০২৪

সিলেটের গ্যাসক্ষেত্রে তেলের সন্ধান


ডেস্ক রিপোর্ট
103

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০৪:১২:৩০ পিএম
সিলেটের গ্যাসক্ষেত্রে তেলের সন্ধান ফাইল-ফটো



সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এখান থেকে দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল তেল পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি। নসরুল হামিদ বলেন, এই বিজয়ের মাসে আমি আপনাদের আরও একটি সুখবর দিতে চাই। আমাদের সিলেটের ১০ নম্বর কূপে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখান থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যাচ্ছে। পরীক্ষা শেষ হলে তেলের মজুদ জানা যাবে। এর জন্য আরও চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগবে। যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয় তাহলে ১৫ বছরের অধিক সাসটেইন করবে। 
১৯৮৬ সালে দেশে প্রথম তেলের সন্ধান পাওয়া যায় হরিপুরে। এটি পাঁচ বছর স্থায়ী হয়েছিল ওই সময় এপিআই গ্র্যাভিটি ছিল ২৭ ডিগ্রি। তবে এবার সিলেটে গ্যাসক্ষেত্রের নতুন কূপে ১৩৯৭ থেকে ১৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরও একটি জোন আবিষ্কৃত হয়। যেখানে গত ৮ ডিসেম্বর টেস্ট করে তেলের উপস্থিতি জানা যায়। প্রাথমিকভাবে এপিআই গ্র্যাভিটি ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি পাওয়া গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট-১০ নম্বর কূপে ২৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন করা হয়। এই কূপে চারটি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নিচের স্তরটি ২৫৪০-২৫৫০ মিটার টেস্ট করে আড়াই কোটি ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায়। এর ফ্লোয়িং প্রেশার ৩২৫০ পিএসআই। এখানে গ্যাসের মজুতের পরিমাণ ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট।
নসরুল হামিদ বলেন, ২৪৬০ এবং ২৪৭৫ মিটারের আরও একটি ভালো গ্যাসের স্তর পাওয়া যায়। এখানে টেস্ট করলে আড়াই থেকে তিন কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।
তিনি আরও বলেন, ২২৯০ থেকে ২৩১০ মিটার  গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। 


প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর এটি অব্যাহত থাকবে এবং গড় ভারিত মূল্য হিসেবে এর মূল্য প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা। যদি দিনে দুই কোটি ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয়, তাহলে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে গ্যাস উৎপাদন করা যাবে


আরও পড়ুন: