ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
৩০ এপ্রিল ২০২৪

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ


ডেস্ক রিপোর্ট
98

প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০৫:১২:৫৫ পিএম
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ ফাইল-ফটো



দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়ায় দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল কয়লা খনির ভূগর্ভের ১৪১২ কোল ফেইজে’র(নির্গমন মুখ) মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ (শনিবার) সকাল থেকে বন্ধ হচ্ছে কয়লা উত্তোলন।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত ১২ অক্টোবর খনির ১৪১২ ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ধরা হয়েছিল এই ফেইজে কয়লার মজুত ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এই ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন করা হয় ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। এখন আর এই ফেইজে উত্তোলন-যোগ্য কয়লার মজুত নাই। তাই শুক্রবার রাতে ফেইজটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বন্ধ হয়ে যায় খনির কয়লা উৎপাদন। 

বর্তমানে খনির ১২০৯ নম্বর নতুন এই ফেইজ চালু করার প্রক্রিয়া করছে কর্তৃপক্ষ। এই ফেইজ থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। পুরাতন ফেইজের যন্ত্রপাতি দিয়ে নতুন এই ফেইজটি তৈরি করা হবে। এতে করে দুই থেকে আড়াই মাস সময় লাগবে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসের প্রথমের দিকেই এই ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হবে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ। 

আগামী ২০২৪ সালের মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কয়লা উত্তোলন শুরুর আশা করছে খনি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ইয়ার্ড ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে।

এ সময়ে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “পাশের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য পিডিবির ইয়ার্ডে ১ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রাখা হয়েছে। ফলে ওই মজুদ কয়লা দিয়ে আগামী তিন মাস বিদ্যুৎ কেন্দ্র অনায়াসে চালাতে পারবে।” 

এদিকে তাপ বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের ম্যানেজার (সংরক্ষণ) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “কেন্দ্রে ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তিনটি ইউনিটের মধ্যে একটিতে দৈনিক ১৭০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।”

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কয়লার জোগান মিললে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।


আরও পড়ুন: