ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
৩০ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে আয়োজন নেই 'থার্টি ফার্স্ট নাইটে', পর্যটক নামমাত্র


ডেস্ক রিপোর্ট
110

প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০:১২:৪১ এএম
কক্সবাজারে আয়োজন নেই 'থার্টি ফার্স্ট নাইটে', পর্যটক নামমাত্র ফাইল-ফটো



আগামী ৩১ ডিসেম্বর কালের গহীনে বিদায় নেবে ২০২৩ ইংরেজি বর্ষ। রাত ১২টা ১ মিনিটে পুরো বিশ্ব নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালকে বরণ করে নেবে। প্রতি বছর ইংরেজি বর্ষ বরণ ও বিদায়কে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে বর্ণিল আয়োজন থাকে। কিন্তু এবার সেই আয়োজনে ভাটা পড়েছে। এবার থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এতে রংহীন থাকবে কক্সবাজার। পাশাপাশি পর্যটন শহরে কমে যাবে পর্যটকদের আনাগোনা। ফলে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা।

তারা জানিয়েছেন, এবার ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ পড়েছে রোববার। সরকারি ছুটি নেই, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রশাসনের কড়াকড়ি, আবার আউটডোর-ইনডোর কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন না থাকায় এবার পর্যটকদের সাড়া নেই। অথচ অন্যান্য বছর এদিনে লাখো পর্যটকের সমাগম হত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে।

শনিবার সকালে সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা, সী-গাল, লাবণী পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও পর্যটকের তেমন ভিড় নেই। প্রতিদিনের মত কিছু পর্যটক সেলফি ওঠানো, বালিয়াড়িতে দৌড়ঝাঁপ, সমুদ্র-স্নানে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তবে সৈকতে ভিড় কম থাকাতে আনন্দ বেশি হচ্ছে বলে জানালেন দিনাজপুর থেকে আসা নবদম্পতি মিরাজ আহম্মেদ ও সুস্মিতা আহম্মেদ।
সুস্মিতা বলেন, “আমি সব সময় কোলাহল কম পছন্দ করি। যে কারণে এই সময়টা খুব ভাল লাগছে। এবার অসাধারণ সময় পার করছি। যেহেতু বিয়ের পর বরের সঙ্গে এসেছি একটু অন্যরকম ভালো লাগা তো আছেই।”

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন নবম শ্রেণির ছাত্রী রাবেয়া খানম।
তিনি অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল, কক্সবাজার সৈকতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করব। বার্ষিক পরীক্ষা শেষ, পড়ালেখার চাপ নেই। এবার বাবা-মায়ের সঙ্গে এখানে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করব। এখানকার পরিবেশও অসাধারণ।”

কক্সবাজার হোটেল–মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, আমরা দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের নিয়ে সৈকতের বালিয়াড়িতে অনুষ্ঠান করতাম। তখন লক্ষ লক্ষ পর্যটক আসতো। এখন নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটকের আনাগোনা কমবে। যারা আসবে তারাও বিনোদন বঞ্চিত হবে।

থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট বা অনুষ্ঠানের আয়োজন বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, “৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার আগে উন্মুক্ত স্থানের সব আয়োজন শেষ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে হোটেল মোটেলে ইনডোর আয়োজনে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এই সময়ের পর আতশবাজি প্রজ্বলন, বাজি ফুটানো যাবে না। এমনকি হোটেল-মোটেলসহ বিভিন্ন স্থানের বারও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।”

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) আপেল মাহমুদ বলেন, “আমাদের কাছে পর্যটকদের নিরাপত্তাই প্রধান। ভ্রমণে এসে কোনো পর্যটক যেন হয়রানির শিকার না হন, সে ব্যাপারে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।”


আরও পড়ুন: