ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
৩০ এপ্রিল ২০২৪

রাষ্ট্রপতি ভোট দিলেন পোস্টাল ব্যালটে


ডেস্ক রিপোর্ট
137

প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারী ২০২৪ | ০৫:০১:১৫ পিএম
রাষ্ট্রপতি ভোট দিলেন পোস্টাল ব্যালটে ফাইল-ফটো



দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে বঙ্গভবনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেন রাষ্ট্রপতি ও তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা। তারা পাবনা সদরের ভোটার।

দেশবাসীকে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিয়ে নাগরিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আসুন নিজে ভোট দেই, অন্যকে ভোট দিতে উৎসাহিত করি।’

তিনি বলেন, ‘ভোট মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। একজন নাগরিক হিসেবে ভোট দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক রায় দেয়।’

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের পাঠানো দৈনিক কর্মসূচিতে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশন থেকে এবারের সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে উৎসাহিত করতে ব্যাপক প্রচারণার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে মূলত পোস্টাল ব্যালটের বিষয়টিকে জনপ্রিয় করে তুলতে চায় নির্বাচন কমিশন।

রাষ্ট্রপতি আশা করেন, সবার অংশগ্রহণে এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) অনুচ্ছেদ ২৭ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপ্রধান পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে সক্ষম হন। ভোটকেন্দ্রে যেতে অসমর্থ- এমন চার ধরনের ভোটাররা ডাকে (পোস্টাল ব্যালটে) ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে এই বিধান চালু হয়েছে। নিবন্ধিত ভোটার, যারা কারাবন্দী বা আইনি হেফাজতে আছেন, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং ভোট-গ্রহণ কর্মকর্তারা, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।

ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি যিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আগ্রহী, তাকে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপারের জন্য তার নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে।

পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে চাইলে তফসিল ঘোষণার পর ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয় নিজের নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। সে অনুযায়ী এবার আবেদন করার সুযোগ ছিল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। 

আবেদন পাওয়ার পর ওই ভোটারের কাছে ডাকযোগে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপার ও একটি খাম পাঠান রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর আবেদনকারী ভোট দিয়ে ব্যালট পেপার পাঠালে তা মূল ফলের সঙ্গে যোগ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, আবেদনটিতে অবশ্যই ভোটারের নাম, ডাক ঠিকানা এবং ভোটার তালিকায় ক্রমিক নম্বর থাকতে হবে


আরও পড়ুন: