ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
৩০ এপ্রিল ২০২৪

সংসদে এবার কমছে নারী এমপির সংখ্যা


ডেস্ক রিপোর্ট
183

প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারী ২০২৪ | ১১:০১:৩১ এএম
সংসদে এবার কমছে নারী এমপির সংখ্যা ফাইল-ফটো



দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী নারী প্রার্থীর সংখ্যা গত নির্বাচনের চেয়ে বেশি থাকলেও বিজয়ের সংখ্যা কম। এই নির্বাচনে ৯৬ জন নারী প্রার্থীর মধ্যে ১৯ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া স্থগিত একটি আসনে একজন নারী প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। 

১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় নির্বাচনে ৩৯ জন নারী প্রার্থী অংশ নেন, যাদের মধ্যে পাঁচজন জয়ী হয়ে সংসদে যান।

ষষ্ঠ জাতীয় নির্বাচনে ৩৬ নারী প্রার্থীর আটজন, সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৮ নারী প্রার্থীর ছয়জন, অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫৯ নারীর মধ্যে ১৯ জন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯ নারী প্রার্থীর ১৮ জন নির্বাচিত হন। 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬৯ আসনে জনপ্রতিনিধি হতে লড়েন ৬৮ নারী, যাদের মধ্যে রেকর্ড ২২ জন সরাসরি নির্বাচিত হয়ে সংসদে যান। 

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানায়, এবার নির্বাচিত নারী প্রার্থীদের সবাই আওয়ামী লীগের। তবে চারজন আওয়ামী লীগের হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। এবার আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের নারী প্রার্থীরা জয়ী হতে পারেননি।

আওয়ামী লীগ: (রংপুর-৬) শিরীন শারমিন চৌধুরী, (গাইবান্ধা-৩) উম্মে কুলসুম স্মৃতি, (বগুড়া-১) সাহাদারা মান্নান, (সিরাজগঞ্জ-২)  জান্নাত আরা হেনরি, (বাগেরহাট-৩) হাবিবুন নাহার, (বরগুনা-২) সুলতানা নাদিরা, (শেরপুর-২) মতিয়া চৌধুরী, (কিশোরগঞ্জ-১) সৈয়দা জাকিয়া নূর, (মুন্সীগঞ্জ-২) সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, (গাজীপুর-৩) রুমানা আলী, (গাজীপুর-৪) সিমিন হোসেন রিমি, (গোপালগঞ্জ-৩) শেখ হাসিনা, (চাঁদপুর-৩) দীপু মনি, (চট্টগ্রাম-২) খাদিজাতুল আনোয়ার এবং (কক্সবাজার-৪) আসনে শাহীন আক্তার। 

স্বতন্ত্র: ২৬ জন নারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে যাদের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন চার জন নারী। এসব নারী প্রার্থীদের নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে জয়লাভ করাটা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। যারা জয় পেয়েছেন তারা হলেন (গাইবান্ধা-১) আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, (মাদারীপুর-৩) মোসা. তাহমিনা বেগম, (সুনামগঞ্জ-২) জয়া সেনগুপ্তা ও (হবিগঞ্জ-১) আসনে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী জয়ী হয়েছেন।

এ ছাড়া একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় ময়মনসিংহ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিলুফার আনজুম পপি নৌকা প্রতীকে ৫৩ হাজার ১৫৬ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সোমনাথ সাহা ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ২১১ ভোট। এ আসনের স্থগিত কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা তিন হাজার ৩২। দুজনের ভোটের ব্যবধান ৯৮৫ ভোট। ১৩ জানুয়ারি ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। 

জয়ীর সংখ্যা কমলেও নারীরা এবার ভালো করেছে বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির। 

তিনি বলেন, “নারীদের যে জয়ের সংখ্যা, সেটা মোটেও সন্তোষজনক না, কিন্তু তুলনামূলক-ভাবে পুরুষ প্রার্থীদের চেয়ে নারী প্রার্থীরা বেশি ভালো করেছে। কারণ পুরুষ প্রার্থী তো অনেক ছিল। শতকরায় হিসাব করলে দেখা যাবে, পুরুষদের হারার হার বেশি।” 

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু বলেন, আরও মনোনয়ন দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তারা নারী অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আরও পড়ুন: