ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
৩০ এপ্রিল ২০২৪

আট দিন পর উদ্ধার রজনীগন্ধা


ডেস্ক রিপোর্ট
98

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ | ০৪:০১:৫৬ পিএম
আট দিন পর উদ্ধার রজনীগন্ধা ফাইল-ফটো



আট দিনের অভিযান শেষে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধাকে উদ্ধার করে নদীর তীরে আনা হয়েছে। পদ্মা থেকে তুলে আনা হয়েছে ফেরির সঙ্গে ডুবে যাওয়া নয়টি যানবাহনও।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১১টায় ফেরিটি উদ্ধার করে ঘাটের পূর্বে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল প্রকল্প এলাকায় নোঙর করে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ খালেদ নেওয়াজ।

তিনি জানান, ৮  দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে উদ্ধারকারী জাহাজ “প্রত্যয়” ফেরি “রজনীগন্ধাকে” পানির নিচ থেকে তুলে আনতে সক্ষম হয়। পরে এটিকে সোজা করে রাতে ঘাটে টেনে নিয়ে আসে।

বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের পরিচালক শাহ জাহান বলেন, উদ্ধার কাজের অষ্টম দিনে বুধবার বিকেলে ডুবন্ত ফেরিটিকে উল্টিয়ে সোজা করা হয়। সন্ধ্যার দিকে দুইটি তারের মাধ্যমে প্রত্যয়ের হুকের সাথে ফেরিটিকে আটকিয়ে এবং নিচের অংশে এয়ার লিফটিং ব্যাগের সাহায্যে উপরের দিকে ভাসিয়ে রাখা হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রত্যয়ের ক্রেনের মাধ্যমে ফেরিটিকে টেনে তীরের দিকে নেয়া হয়। রাত পৌনে ১১টার দিকে রজনীগন্ধা ফেরিটিকে পাটুরিয়ার ৫নং ঘাটের প্রায় দুই কিলোমিটার ভাটিতে তীরের কাছে নোঙর করা হয়।

এদিকে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত থাকা নৌবাহিনীর ল্যাপটেনেন্ট শাহ পরান জানান, ডুবে যাওয়া ৯টি ট্রাকের সবগুলো ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে। তারপরও নদীতে উদ্ধারকারী জাহাজ ঝিনাই দিয়ে অনুসন্ধান করানো হচ্ছে অন্য কোন যানবাহন আছে কি-না।

বিআরডব্লিউটিএ’র দেয়ার তথ্য মতে, ফেরি রজনীগন্ধা-৭ মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে সাতটি ছোট ট্রাক এবং দুটি বড় ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু পাটুরিয়ার কাছাকাছি গিয়ে ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া ৫নং ঘাটের পন্টুনের অদূরে পদ্মা নদীতে নোঙর করে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ফেরিটি ডুবে যায়।

এরপর ডুবে যাওয়ার দিন উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ গিয়ে একটি কভার্ডভ্যান ও একটি ট্রাক উদ্ধার করে। পরদিন আরেক উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ গিয়ে উদ্ধার করে তুলা বোঝাই একটি ট্রাক। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ফেরি রজনীগন্ধার উদ্ধারের পর একে একে অন্য সাতটি ফেরিও উদ্ধার করা হয়।

ডুবন্ত ফেরিটি ৪০ থেকে ৫০ ফুট পানির নিচে ছিল। এটি উদ্ধারে বেশ বেগ পেতে হয় উদ্ধারকারীদের। তীব্র শীতের পাশাপাশি কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়।

এ সময় নিখোঁজ হন ফেরির সহকারী ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ূন কবির। পরে ঘটনার পাঁচ দিন পর হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিন জানান, ফেরি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে এরই মধ্যে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। সাত কর্ম-দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার কথা রয়েছে। পাঁচ কর্ম দিবস শেষ, দুইদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।


আরও পড়ুন: