ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
৩০ এপ্রিল ২০২৪

গোপালগঞ্জের রসগোল্লা স্বীকৃতি পেল জিআই পণ্যের


ডেস্ক রিপোর্ট
113

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১২:০২:২৯ পিএম
গোপালগঞ্জের রসগোল্লা স্বীকৃতি পেল জিআই পণ্যের ফাইল-ফটো



বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক জিআই পণ্য হিসেবে গোপালগঞ্জের রসগোল্লা স্বীকৃতি পেয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। সেখানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম। গোপালগঞ্জের রসগোল্লা জিআই স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তিনি। 

কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘একটি বিশেষ পণ্য চেনার জন্য জিআই স্বীকৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কোনো পণ্যের বিস্তারিত না জানলেও খ্যাতির ওপর নির্ভর করে সেই পণ্য ব্যবহার করতে পারে ভোক্তারা। এ ছাড়া এটি ভৌগোলিক পরিচিতি বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আর্থিক উন্নয়নে অবদান রাখে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান, গত বছরের ২২ আগস্ট গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (ইডিসি) সহযোগিতায় ‘গোপালগঞ্জের রসগোল্লা’কে জিআই পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়। 

এরই ফলশ্রুতিতে গত বৃহস্পতিবার ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে গোপালগঞ্জের রসগোল্লা নিবন্ধনের জন্য ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন, ২০১৩ এর ধারা ১২ অনুসারে জার্নালে প্রকাশ করা হয়। ফলে রসগোল্লা গোপালগঞ্জ জেলার প্রথম পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি লাভ করেছে।

‘গোপালগঞ্জের রসগোল্লা দেশ ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ভবিষ্যতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ‘মিষ্টি চত্বর’ স্থাপনসহ সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

ই কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট কাকলী তালুকদার বলেন, “গোপালগঞ্জের রসগোল্লা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন সব ধরনের সহযোগিতা করেছে। আমরা লজিস্টিক ও অন্যান্য সাপোর্ট দিয়েছি। অবশেষে এটির স্বীকৃতি মিলেছে। এটি জেলার অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে গতিশীল করবে।”

তিনি পণ্যটির প্রচার ও প্রসারে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান।

ইডিসির ট্রেজারার উম্মে সাহেরা এনিকা বলেন, আমি গোপালগঞ্জের রসগোল্লা নিয়ে কাজ করেছি। এটি এক প্রকার রসালো মিষ্টি। এটি খাঁটি ছানা আর চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। এতে ময়দার কোন ব্যবহার নেই। এই রসগোল্লা দেখতে সাদা ও গোলাকার আকৃতির হয়। গোপালগঞ্জের রসগোল্লায় মিষ্টির পরিমাণ খুবই কম। রস বা চিনির সিরা পাতলার কারণে গোপালগঞ্জের রসগোল্লার স্বাদ দেশের যে কোন অঞ্চলের রসগোল্লার চেয়ে ভিন্ন। খেতে সুস্বাদু।

এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ জোবায়ের আহমেদ, ইডিসির প্রেসিডেন্ট কাকলি তালুকদার, ইডিসির ট্রেজারার উম্মে সাহেরা এনিকা, ইডিসির পরিচালক (যোগাযোগ) পলাশ চন্দ্র শীল (প্রতাপ), সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, মাহবুব হোসেন সারমাত, সুব্রত সাহা বাপী প্রমুখ। প্রেস ব্রিফিংয়ে গোপালগঞ্জে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও পড়ুন: