ঢাকা শনিবার
২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৮ এপ্রিল ২০২৪

মিয়ানমারের জান্তা অস্তিত্বগত হুমকির সম্মুখীন : জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ


ডেস্ক রিপোর্ট
56

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৪ | ১১:০৩:১১ এএম
মিয়ানমারের জান্তা অস্তিত্বগত হুমকির সম্মুখীন : জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ ফাইল-ফটো



 

মিয়ানমারের জান্তা ইতিমধ্যে একটি ‘অস্তিত্বগত হুমকির’ সম্মুখীন হয়েছে। বিশ্ব সমন্বিত নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ‘দুঃস্বপ্নের’ মতো জান্তা শাসনের অবসান ঘটাতে সাহায্য করতে পারে। দেশটিতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত বুধবার এ কথা বলেছেন।

টম অ্যান্ড্রুজ বলেছেন, জান্তা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা, সেই সঙ্গে দলত্যাগ, আত্মসমর্পণ ও নিয়োগসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলোর কারণে সেনার সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে, যা ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জন্য অস্তিত্বের হুমকি’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘যারা মিয়ানমারে শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য জান্তার সঙ্গে বাজি ধরেছে, তারা হেরে যাওয়ার বাজি রেখেছে।’

অং সান সু চির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে জান্তা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতায় আসে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রের সঙ্গে দেশটির ১০ বছরের সম্পর্ক শেষ হয় এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতিটিকে রক্তাক্ত অশান্তিতে নিমজ্জিত করে। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠিত জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও নতুন গণতন্ত্রপন্থী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের সঙ্গে জান্তা তার শাসন টিকিয়ে রাখতে সংগ্রাম করছে।

অ্যান্ড্রুজ বলেন, ‘জান্তা দেশের সহিংসতা, অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক অবনতি ও অনাচারের প্রধান চালক।’

সাবেক মার্কিন কংগ্রেসম্যান ও মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির বিশেষ র‍্যাপোর্টিয়ার বলেন, আর্থিক প্রবাহের ওপর বিধি-নিষেধ এবং সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য সরঞ্জামের ওপর নিষেধাজ্ঞাগুলো জান্তার কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। জেনেভায় একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দেন। দেশটি সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য সরঞ্জাম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে এবং গত বছর এ ধরনের স্থানান্তর ৮৩ শতাংশ কমেছে।

তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, জান্তাকে অস্ত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় সরবরাহকারী রাশিয়া ও চীনের ক্ষেত্রে এ রকম ছিল না।জান্তাকে আর্থিকভাবে দমিয়ে রাখতে আরো কিছু করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন অ্যান্ড্রুজ। তিনি বলেন, ‘আমরা কিভাবে নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রয়োগ করছি তাতে আমাদের একটি মৌলিক পরিবর্তন হওয়া দরকার। আমাদের সমন্বিত ও ফোকাসড উপায়ে এটি করতে হবে।’

অ্যান্ড্রুজ জান্তা ও বাকি বিশ্বের মধ্যে ব্যাংকিং ও আর্থিক সম্পর্কের তদন্ত করছেন এবং এ বছরের শেষের দিকে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার আশা করছেন।

তিনি মিয়ানমারের ভাগ্যের প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগের অভাবের বিষয়েও সতর্ক করেছিলেন। কারণ বিশ্ব অন্যান্য সংঘাতের দিকে মনোনিবেশ করছে। তিনি বলেন, ‘জান্তা মাশরুমের মতো : তারা অন্ধকারে উন্নতি লাভ করে। যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, একটি গণতান্ত্রিক, মানবাধিকার সম্মানপূর্ণ মিয়ানমারের জন্য ভিত্তি স্থাপন করা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হিসেবে দেশের অভ্যন্তরে জনগণকে সমর্থনে আমাদের আরো অনেক কিছু করতে হবে, তবে আমরা যদি তা করি...আমরা এই দুঃস্বপ্নের অবসানের খুব কাছাকাছি যেতে পারব।’


আরও পড়ুন: