ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
৩০ এপ্রিল ২০২৪

কুমিল্লা বোর্ডে ঝরে পড়ল ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী


ডেস্ক রিপোর্ট
159

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০৬:০৯:২০ পিএম
কুমিল্লা বোর্ডে ঝরে পড়ল ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী ফাইল-ফটো



সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শুরু হয়েছে বছরের এসএসসি পরীক্ষা। বোর্ডের জেলায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল লাখ ২০ হাজার ২৮৮ জন, এর মধ্যে পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছেন লাখ ৮৩ হাজার ৩৪৩ জন। রেজিস্ট্রেশন করলেও ফরম পূরণ না করায় পরীক্ষায় বসেনি প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি।

পরীক্ষায় না বসা বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই ঝরে গেছেন শিক্ষা জীবন থেকে। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক স্কুল প্রধানরা বলছেন, মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার মূল কারণ বাল্য বিবাহ, আর ছেলেরা ঝুঁকছে উপার্জনে। আর প্রত্যন্ত এলাকায় এই ঝরে পড়ার হার বেশি।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানায়, বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট সমমান পরীক্ষা। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া লক্ষ্মীপুর জেলার লাখ ২০ হাজার ২৮৮ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছে। কিন্তু ফরম পূরণ করেছে লাখ ৮৩ হাজার ৩৪৩ জন। রেজিস্ট্রেশন করেও ৩৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ২৫ হাজারের অধিক। ঝরে পড়াদের হার ১৯ দশমিক শতাংশ ছাত্রী এবং ১২ দশমিক শতাংশ ছাত্র।

আবার শহরের চেয়ে গ্রামের শিক্ষার্থীরা বেশি ঝরে পড়েছে। রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় বসছে না ৩৬ হাজার ৯৪৫ জন পরীক্ষার্থী। রেজিস্ট্রেশন করা ৮৯ হাজার ৫৮১ জন ছাত্রের মধ্যে ফরম পূরণ করেছেন ৭৮ হাজার ৩৯৬ জন; ঝরে পড়েছে ১১ হাজার ১৮৫ জন। অপরদিকে রেজিস্ট্রেশন করা লাখ ৩০ হাজার ৭০৭ জন ছাত্রীর মধ্যে ফরম পূরণ করেছেন লাখ হাজার ৯৪৭ জন; এর মধ্যে ঝরে পড়েছে ২৫ হাজার ৭৬০ জন।

পরিসংখ্যান বলছে, ছেলে শিক্ষার্থীদের চেয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার সংখ্যা বেশি। ঝরে পড়া মেয়ে শিক্ষার্থীর হার ১৯ দশমিক শতাংশ এবং ছেলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ১২ দশমিক শতাংশ। এদিকে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে ৩০ হাজার, যদিও বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে- অনিয়মিত পরীক্ষার্থী না থাকায় কমে এসেছে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক . মো. আসাদুজ্জামান জানান, পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ না করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবাই শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়েছে এমন নয়, এর মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীও রয়েছে। এছাড়া শুধু বাল্যবিয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ছে বিষয়টা সরাসরি এমন নয়। তবে বিদেশ চলে যাওয়ার একটা প্রবণতা, কিংবা দেশের মধ্যেই চাকরির খোঁজ করার আগ্রহ তৈরি হওয়ায় এমন হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারির পর যে বিষয়টি লক্ষণীয় অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেক শিক্ষার্থীকেই দেখা যাচ্ছে অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদ দিয়ে কোনো না কোনো চাকরি খুঁজছেন। যে কারণে অনেকে রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় বসছে না। আর মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার মূল কারণ বাল্য বিবাহ।


আরও পড়ুন: