বন্যায় পানিবন্দি অঞ্চলগুলোর পরিবারে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট
ডেস্ক রিপোর্ট
49
প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২৪ | ১০:০৮:৩৮ এএম
বন্যার ভয়াবহতায় মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে বন্যায় পানিবন্দি অঞ্চলগুলোর পরিবারগুলো।পানি কমলেও প্রান্তিক গ্রামগুলোয় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার, পোশাক, জরুরি ওষুধের সংকট। তবে দুর্গত মানুষকে সহায়তায় জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর পরিমাণ ত্রাণসামগ্রীও আসছে। কিন্তু পরিবহনের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক নৌকা ও ট্রলার না থাকায় উপদ্রুত এলাকায় চাহিদা অনুযায়ী ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মনোহরপুর, অলুয়াচণ্ডিপুর, নাল্লা, শশীদল, শিদলাই, বড়ধুশিয়া, বাড়েশ্বর, বৃষ্টিপুর, বুড়িচং সদর, ষোলনল, পীরযাত্রাপুর, বাকশিমুল ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকাগুলোয় এখনো অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোটে পানিবন্দি মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি বিপদ সীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ফেনী নদীর তীরঘেঁষা গ্রামগুলোর বাসিন্দারা পাঁচ দিন ধরে পানিবন্দি। বিশুদ্ধ পানি ও শুকনা খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গ্রামগুলোতে। একাধিক সংবাদকর্মী জানান, ফেনীর প্রত্যন্ত অনেক গ্রামে এখনো হাঁটু, আবার কোথাও বুকসমান পানি রয়েছে। এসব এলাকার বহু মানুষ ত্রাণ পায়নি। নৌকা দেখলেই তারা ত্রাণের জন্য উন্মুখ হয়ে পড়েন।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, ভয়াবহ বন্যায় ইতিমধ্যেই তলিয়ে গেছে জেলার অধিকাংশ এলাকা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। এসব এলাকার গ্রামীণ সব রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সারা দেশ থেকে ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মীরা লক্ষ্মীপুরের পাঁচটি উপজেলায় প্রবেশ করলেও এখনো ত্রাণ পাচ্ছেন না পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ। পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে এসব নারী-শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সি মানুষ। জানা গেছে, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরকারি ত্রাণসহায়তা দেওয়া হলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে এখনো কোনো ত্রাণসহায়তা পৌঁছায়নি। এমন পরিস্থিতিতে বন্যার্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আকুতি জানিয়েছেন হাজার হাজার বানভাসি পরিবার।
নোয়াখালীতে, ভারী বর্ষণ ও উজানের পানির চাপে জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বেড়েছে আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ও মানুষের চাপ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে পড়ায়, দোকানপাট বন্ধ থাকায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। কর্মহীন মানুষের কষ্টের শেষ নেই।
আরও পড়ুন:
জাতীয় সম্পর্কিত আরও
ঢাকার যানজটের দ্রুত ও কার্যকর সমাধান চান প্রধান উপদেষ্টা
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলাম নাঃ মাহফুজ আলম
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৩ নম্বর সতর্ক সংকেতঃ আজও থাকবে বৃষ্টি,কমতে পারে কাল থেকে
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাতিল হচ্ছে না নিয়োগ পরীক্ষা,পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ মেলেনি
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
যাত্রীদের সেবা দিতে নিজস্ব কল সেন্টার চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ঢাকা সফরে আসছেন ডোনাল্ড লু
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪