ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
৩০ এপ্রিল ২০২৪

আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস


ডেস্ক রিপোর্ট
159

প্রকাশিত: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০১:০৯:০৫ পিএম
আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ফাইল-ফটো



আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর)। সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের সম্পদ। বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে প্রয়োজন শিক্ষিত ও দক্ষ জনগোষ্ঠী। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা দর্শনের আলোকে আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের বিগত সাড়ে ১৩ বছরে গৃহীত বিভিন্ন সময়োপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষা খাতে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। শিক্ষার হার ২০০৭ সালের ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ হতে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

বাণীতে শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমাদের সরকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২২ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত মোট ৪০০ কোটি ৫৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯১১ কপি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছে। বিনামূল্যে বই বিতরণের পাশপাশি বিভিন্ন ধরনের মেধাবৃত্তি, উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বহুলাংশে বাড়ানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় মহাখালীর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো (বিএনএফই) অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।

এ ছাড়াও দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে এ দিন ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনা এবং মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করা হয়।

১৯৬৫ সালের ১৭ নবেম্বর ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে এ দিবসটি নির্ধারণ করা হয়। ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছর এ দিবসটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা এবং বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে প্রথম সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়।


আরও পড়ুন: