ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
২১ এপ্রিল ২০২৪

আফিম উৎপাদনে শীর্ষে মিয়ানমার


ডেস্ক রিপোর্ট
115

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০২:১২:০৩ পিএম
আফিম উৎপাদনে শীর্ষে মিয়ানমার ফাইল-ফটো



আফিম উৎপাদনে এখন মিয়ানমারই শীর্ষে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন কমে যাওয়ায় তাদেরকে ছাড়িয়ে গেছে মিয়ানমার।
জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে চলতি বছর আফিমের উৎপাদন ৩৬% বেড়ে ১০৮০ টনে উন্নীত হতে পারে। অন্যদিকে, গত বছর আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসে তালেবান সরকার। এরপর তারা পপি চাষ ৯৫% কমিয়ে দেয়। চলতি বছর আফগানিস্তানে ৩৩০ টন আফিম উৎপাদিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাদকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে দেশটিতে পপি চাষ ৯৫ শতাংশ কমে গেছে।


শক্তিশালী মাদক হেরোইনের মূল উপাদান আফিম। মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও লাওসের মিলিত সীমান্তকে একত্রে বলা হয় ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’। ঐতিহাসিকভাবে এ এলাকায় আফিম ও হেরোইন উৎপাদিত হয় বেশি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ হেরোইনের উৎস মিয়ানমার ও আফগানিস্তান।


জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম সংশ্লিষ্ট দপ্তরের (ইউএনওডিসি) আঞ্চলিক প্রতিনিধি ডগলাস জেরেমি বলেন, “২০২১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারের অর্থনীতি, নিরাপত্তা এবং শাসন সবই বিঘ্নিত হয়েছে। সংঘাত, অস্থিতিশীলতার কারণে দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকরা জীবিকা নির্বাহের জন্য আফিম উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছে।”
ফসল কাটার সময় তাজা ও শুকনা আফিমের গড় মূল্য বেড়েছে। এখন প্রতি কেজি তাজা আফিম বিক্রি হচ্ছে ৩১৭ ডলারে ও শুকনা আফিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫৬ ডলারে। এছাড়া চলতি বছর মিয়ানমারে পপি চাষের জমির পরিমাণও বেড়েছে। এখন তা ১৮% বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ১৪০ একর।


আরও পড়ুন: