ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
২১ এপ্রিল ২০২৪

ভারী বর্ষণে অস্ট্রেলিয়ায় বন্যা, ডুবল বিমানবন্দর


ডেস্ক রিপোর্ট
171

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০৩:১২:১৫ পিএম
ভারী বর্ষণে অস্ট্রেলিয়ায় বন্যা, ডুবল বিমানবন্দর ফাইল-ফটো



রেকর্ড বৃষ্টিপাতের জেরে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে প্রদেশটির একটি বিমানবন্দর প্লাবিত হয়েছে। এমনকি পানিতে প্লাবিত শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কুমির, এমন দৃশ্যও সামনে এসেছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় হাজারও মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেকর্ড বৃষ্টিপাত অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের সুদূর উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের ধারণা, অস্ট্রেলিয়ার এই অঞ্চলে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও বহু মানুষ পানিতে আটকা পড়ে আছেন। 


তথ্যমতে, কেয়ার্নস শহরের রাস্তা-ঘাট দুই মিটার পানি নিচে তলিয়ে গেছে। শহরটিতে সর্বশেষ কবে এমনটি হয়েছিল স্থানীয়দের তা জানা নেই। 
বিবিসি বলছে, প্রবল বৃষ্টির জেরে বন্যা দেখা দেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার এই অঞ্চলের যেসব চিত্র সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কেয়ার্নস বিমানবন্দরের বিমানগুলো ডুবে গেছে, শহরের মাঝখানে একটি কুমির দেখা যাচ্ছে এবং লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে নৌকায় করে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে।
অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যু বা কারও নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া যায়নি, তবে গত শনিবার কেয়ার্নসে বজ্রপাতের পর ১০ বছর বয়সী এক মেয়ে আহত হয় এবং তার অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।


বন্যার কিছু ছবি অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে। যেগুলোতে দেখা যাচ্ছে, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কেয়ার্নস বিমানবন্দর। শহরের মাঝখানে বন্যার পানিতে একটি কুমিরকে সাঁতার কাটতেও দেখা গেছে।
কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার স্টেভেন মাইলস এবিসি রেডিওকে বলেন, এটা আমার দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমি নিজে যোগাযোগ রাখছি। 
কেয়ার্নস থেকে ১১০ মাইল উত্তরে উজাল শহরে বন্যার কারণে হাসপাতালের ভেতর পানি ঢুকে যাওয়ায় একটি অসুস্থ শিশুসহ নয়জন হাসপাতালের ছাদে রাত কাটিয়েছে। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে উদ্ধার-কর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।পরে সোমবার তাদের উদ্ধার করে আনা হয়। তবে শুধু ওই নয়জনকেই নয়, বরং পুরো শহরের সব বাসিন্দাকে উদ্ধার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী মাইলস।


আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সোমবার দিনভরও ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে অধিক উচ্চতার ঢেউয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। এ সময়ে বেশিরভাগ নদী স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় বয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার নাগাদ বৃষ্টিপাত কমে আসতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: