ঢাকা শুক্রবার
০৩ মে ২০২৪
২১ এপ্রিল ২০২৪

নির্বাচনে জিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন লাই চিং-তে


ডেস্ক রিপোর্ট
104

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারী ২০২৪ | ১০:০১:০২ এএম
নির্বাচনে জিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন লাই চিং-তে ফাইল-ফটো



চীনের প্রভাব বলয়ে নয় বরং তাইওয়ানের বাসিন্দারা নিজেদের স্বাধীনতা চান। তাইতো শনিবারের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টারি নির্বাচনের ভোটে স্বাধীনতার পক্ষে শক্ত অবস্থানে থাকা ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী লাই চিং-তে কে তারা বেছে নিয়েছেন।

তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও চীন সেটা মানে না। বরং তাইওয়ানকে তারা নিজেদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ মনে করে, যারা একদিন পুনরায় একত্রিত হবে। এজন্য প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের হুমকিও দিয়ে রেখেছে চীন।

ডিপিপি তাইওয়ানের পৃথক পরিচয়ের পক্ষে আর তারা দ্বীপটির উপর চীনের মালিকানার দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে। এবারের নির্বাচনী ইশতেহারেও এটাই ছিল দলটির মূল বক্তব্য। এ অবস্থানের উপর ভিত্তি করেই তারা নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছে। 

গত আট বছর ধরে তাইওয়ানের ক্ষমতায় রয়েছে ডিপিপি। তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডিপিপি-র সাই ইং ওয়েন। কিন্তু তিনি পরপর দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় সংবিধান অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি।

তাইওয়ানে ১ কোটি ৯৫ লাখের বেশি ভোটার রয়েছেন । এর মধ্যে লাই ভোট পেয়েছেন ৫০ লাখের বেশি। ভোট গ্রহণ শুরুর পর আট ঘণ্টা ভোট দেন ভোটাররা। এরপর ফল ঘোষণা শুরু হয়। প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিলেন লাই।

নির্বাচনের আগে তাইওয়ানের নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, তাইপেকে যুদ্ধ এবং শান্তির মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে। শান্তি চাইলে লাই চিংকে ভোট দেওয়া যাবে না। চীন লাইকে বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসাবে নিন্দা করে বলেছিল, তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার দিকে যেকোনো পদক্ষেপের অর্থ যুদ্ধ।

লাইয়ের দল ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি তাইওয়ানের আলাদা পরিচয়কে অগ্রাধিকার এবং চীনের আঞ্চলিক দাবি প্রত্যাখ্যান করে।

প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য লাইকে দুই প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এরা হচ্ছেন-তাইওয়ানের বৃহত্তম বিরোধী দল কুওমিনতাং (কেএমটি) এর হাউ ইউ-ইহ এবং তাইওয়ান পিপলস পার্টির নেতা ও তাইপেই এর সাবেক মেয়র কো ওয়েন-জে। উভয়ই তাদের পরাজয় মেনে নিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পর লাই চিং-তে বলেছেন, “গণতন্ত্রের নতুন অধ্যায় লেখার জন্য তাইওয়ানবাসীকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আমরা আন্তর্জাতিক মহলকে বলেছি গণতন্ত্র এবং কর্তৃত্ববাদের মধ্যে আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে।” চিনের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে তাইওয়ানবাসী যে রুখে দাঁড়িয়েছে তাও উঠে এসেছে নতুন প্রেসিডেন্টের কথায়। পাশাপাশি চিনের সঙ্গে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, “চিনের সঙ্গে শত্রুতা বাড়াতে চাই না আমরা। আমরা বন্ধুও হতে পারি।”


আরও পড়ুন: