ঢাকা শনিবার
২৭ এপ্রিল ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

জিম্মি নাবিকদের পরিবারে উৎকণ্ঠা, আহাজারি


ডেস্ক রিপোর্ট
63

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৪ | ০৯:০৩:২৩ এএম
জিম্মি নাবিকদের পরিবারে উৎকণ্ঠা, আহাজারি ফাইল-ফটো



ভারত মহাসাগরে সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক ও ক্রুর জিম্মি হওয়ার খবরে তাদের পরিবারে চলছে আহাজারি।

ছেলেকে সুস্থ্যভাবে ফিরে পেতে বাবার আকুতি

জাহাজে জিম্মি দশা থেকে ছেলে ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ বিপ্লকে সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়ার আকুতি জানিয়েছেন তার বৃদ্ধ বাবা। ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের আবুল হোসেন ভূইয়া ও রৌশনারার ছেলে বিপ্লব। তিনি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত। আট বছর আগে চাকরিতে যোগ দেন। বিপ্লবের দুই ছেলে রয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে তার বাবার সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেন বিপ্লব। সে সময় তিনি জানান, সোমালিয়ার জলদস্যুরা তাদের আটক করেছে। এ সময় তার জন্য বাবাকে দোয়া করতে বলেন তিনি।

 

জিম্মি ২৩ নাবিকের মধ্যে একজন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের চর নুরনগর গ্রামের নাজমুল হক হানিফ। ওই গ্রামের কৃষক আবু সামা শেখ ও নার্গিস বেগম দম্পতির ছেলে তিনি।

মঙ্গলবার বিকালে জলদস্যুদের হাতে ছেলে জিম্মি হওয়ার খবর শোনার পর থেকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন নাজমুলের মা নার্গিস বেগম। আর হৃদরোগ বেড়ে যাওযায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বাবা আবু সামা। আতঙ্কে রয়েছেন নাজমুলের স্বজনেরা।

বুধবার দুপুরে মা নার্গিস বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার কলিজাটা জ্বলে যাচ্ছে, তোমরা আমার নাজমুলকে আমার কাছে আইনা দাও। নাজমুলকে ছাড়া আমরা বাঁচব না। ২০২২ সালে জাহাজের ডেক ডিপার্টমেন্টের নাবিক হিসেবে যোগ দেন নাজমুল।

 

রোকনের বাড়িতেও চলছে আহাজারি

জলদস্যুদের হাতে আটক জাহাজের জিম্মি এমভি আবদুল্লাহর থার্ড ইঞ্জিনিয়ার রোকন উদ্দিনের গ্রামের বাড়িতে চলছে তাকে ফিরে পাওয়ার আহাজারি। ছেলেকে হারিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তার মা। 

নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের বাঘরুয়া গ্রামের মিরাজ আলী ও লুৎফুন্নাহার দম্পত্তির চার সন্তানের মধ্যে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার রোকন উদ্দিন তৃতীয়

লুৎফুন্নাহার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সর্বশেষ সোমবার ভোরে রাতে কথা হয়, ছেলে রোকনের সঙ্গে। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন তিনি। রোকনকে অবিলম্বে সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে জোর দাবি এলাকাবাসীও।


আরও পড়ুন: