ঢাকা সোমবার
২৯ এপ্রিল ২০২৪
২৮ এপ্রিল ২০২৪

সবজিতে স্বস্তি বাড়তি দাম মাংসের উপর


ডেস্ক রিপোর্ট
56

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৪ | ১০:০৩:৩০ এএম
সবজিতে স্বস্তি বাড়তি দাম মাংসের উপর ফাইল-ফটো



রমজান শুরুর অনেক দিন ধরে চলে আসা ঊর্ধ্বমুখী বাজারে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছে সাধারণ মানুষ। যদিও এই দাম কমে যাওয়াকে ক্রেতারা ক্ষণস্থায়ী বলছেন। ক্রেতাদের দাবি, আজকে কম দামে পেলেও,আগামীকাল কী হবে তারা তা জানে না।
রমজানের শুরুতে যে বেগুনের কেজি ছিল ১০০ টাকার ওপরে তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। একই অবস্থা অন্য সবজির ক্ষেত্রেও।

 তবে সবজি কম হলেও মাংসের বাজার রয়েছে চড়া। সরকার গরুর মাংস, মুরগির মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিলেও তার কোনও তোয়াক্কাই করছে না বিক্রেতারা। তারা বিভিন্ন অজুহাতে এসব মাংস বিক্রি করছে উচ্চমূল্যে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর কাঁচা বাজার সরেজমিন দেখা যায় বাজারের  চিত্র। সবজির বাজার রয়েছে আগের তুলনায় নিম্নমুখী। মুদি দোকানের পরিস্থিতি রয়েছে অপরিবর্তিত।তবে ঈদের আগে কিছুটা দামের তারতম্য হতে পারে বলে আশংকা তাদের। আর মাংসের বাজার রয়েছে নিয়ন্ত্রণহীন।

আজকের বাজারে শিম ৫০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, দেশি গাজর ৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৬০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৮০ টাকা, শসা ১০০-৬০ টাকা, খিরাই ৫০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা,  মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০-১০০ টাকা, সজনে ২০০ টাকা, কচুরমুখী ১৪০, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, ধনেপাতা ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৬০-৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা করে। এক্ষেত্রে গত সপ্তাহের তুলনায় বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। তবে শসা, কচুরমুখী ও কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে ২০ টাকা করে। আর পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়ার দাম বেড়েছে ১০ টাকা করে।

সবজির দাম কমার প্রসঙ্গে বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম কয়েক দিন পরে আরও কমে যাবে। বাজার করতে এক ক্রেতা জানান, আজকে কম দামে পেলেও,আগামীকাল কী হবে তা জানি না।আরেক ক্রেতা আব্দুর রহমান বলেন, দাম কমাটা আমাদের জন্য সুসংবাদের মতো। খাদ্যদ্রব্যের দাম কমলে সত্যিই আমাদের অনেকটা রিলিফ লাগে।

এছাড়া আজকে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৬০-৮০ টাকা, লাল ও সাদা আলু ৪০ টাকা, নতুন দেশি রসুন ১২০ টাকা, চায়না রসুন ২২০ টাকা, ভারতীয় আদা ২২০,  চায়না আদা ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে গত সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজের দাম আবারও কমেছে ১০-২০ টাকা। আর দেশি রসুনের দাম কমেছে ৩০ টাকা এবং চায়না রসুনের দাম বেড়েছে ২০ টাকা।

পেঁয়াজের নিম্নমুখী দাম নিয়ে বিক্রেতা মো.হামিদুর রহমান বলেন, পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এদিকে সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও মাংসের বাজার রয়েছে অস্থির। সরকার ব্রয়লার মুরগির মাংসের কেজি ১৭৫ টাকা এবং গরুর মাংসের কেজি ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও আজকে বাজারের কোনও দোকানে এই দামে এসব মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়নি।
আজকে ওজন অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি ১৯৫-২১৫ টাকা, কক মুরগি ২৯০-৩১০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মুরগির লাল ডিম ১২০ টাকা এবং সাদা ডিম ১১৫ টাকা প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে।
নির্ধারিত দামে কেন ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে না জানতে চাইলে কাজী চিকেন হাউজের বিক্রেতা বলেন, সরকার যে কী দাম নির্ধারণ করে তা আমরা বুঝি না। ১৭৫ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, অথচ আমার কেনাই পড়েছে ১৯৪ টাকা। তাহলে আমি ১৭৫ টাকায় কীভাবে বিক্রি করবো?  এসময় তিনি তার ক্রয় রসিদও দেখান।

আর গরুর মাংসের দাম নিয়ে বিক্রেতারা বলেন, গরুর দাম তো বেশি। আমরা কম দামে বিক্রি করবো কীভাবে?

আব্দুল্লাহ গোশত বিতানের বিক্রেতা বলেন, আমরা মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি করি। যার কাছে যেই দামে পারি সেই দামেই বিক্রি করি। সরকার নির্ধারিত দামে কেন বিক্রি করছেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার গাড়িতে করে যে মাংস বিক্রি করে সেগুলোতে কলিজা, মাথার মাংসসহ সব জায়গার মাংস মেশানো থাকে, তাই দাম কম। আমরা আলাদা জায়গার মাংস বিক্রি করি, তাই দাম বেশি।


আরও পড়ুন:

বিষয়: