ঢাকা রবিবার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ


ডেস্ক রিপোর্ট
108

প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৪ | ০২:০৫:২৩ পিএম
সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ ফাইল-ফটো



দেশের সামুদ্রিক মাছে সুষ্ঠু প্রজনন, মজুদ, সংরক্ষণ ও সহনশীল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের জন্য সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে।

সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা ২ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে এই নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও  প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ৬৫ দিন দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যে কোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় সমুদ্রযাত্রার প্রবেশপথগুলোতে মনিটরিং জোরদার করা হবে এবং মৎস্য নৌযানের সমুদ্রযাত্রা শতভাগ বন্ধ রাখা হবে। সামুদ্রিক মৎস্য পরিবহন বন্ধের লক্ষ্যে সমুদ্র তীরবর্তী বরফকলসমূহ সীমিত পর্যায়ে চালু রাখা হবে ও সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী নৌযান নোঙ্গরস্থলে আবদ্ধ রাখা হবে।
মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের আপদকালীন বিকল্প আয় বা খাদ্য সহায়তা হিসেবে দুই কিস্তিতে ৬৫ দিনের জন্য ৮৬ কেজি হারে ৩ লাখ ১১ হাজার ৬২ জেলে পরিবারকে ভিজিএফ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। 

এছাড়া সমুদ্রে কোনো প্রকার নৌযান দিয়ে অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ নৌ পুলিশ এবং বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতা চেয়ে যথাক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগে ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চিঠি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কর্মহীন হয়ে পড়বে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার প্রায় ২০ হাজার জেলে। তবে এইসময় নিবন্ধিত তালিকাভুক্ত প্রতি জেলেকে প্রথম ৫৬ কেজি এবং পরে ৩০ কেজি করে মােট ৮৬ কজি চাল দেওয়া হবে। মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, রাঙ্গাবালী উপজেলায় নিবন্ধিত ১৬ হাজার ৮০৯ জন জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৮২০ জন জেলে এবার খাদ্য সহায়তা পেতে পারেন। তবে জেলেদের দাবি, নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত অনেক জেলেই নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারি খাদ্য সহায়তা থেকে প্রতিবার বঞ্চিত হয়।


আরও পড়ুন: