ঢাকা শনিবার
২৭ এপ্রিল ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

স্বপ্নের মেট্রোরেলে চড়তে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়


ডেস্ক রিপোর্ট
161

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ | ১১:১২:৩৭ এএম
স্বপ্নের মেট্রোরেলে চড়তে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ফাইল-ফটো



রাজধানীতে মানুষের যাতায়াত সহজ করতে বহুল প্রতীক্ষিত ও দেশের প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের একদিন পর বৃস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই আগারগাঁও স্টেশনে টিকিট সংগ্রহে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

এদিন সকাল ৮টায় আগারগাঁও ও উত্তরা উভয় স্টেশন থেকে সাধারণ যাত্রী নিয়ে প্রথম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মেট্রোরেল ছাড়ে। বুধবার মেট্রোরেলের উদ্বোধনী যাত্রায় যাত্রী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার ২৮৫ জন মানুষ।

ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাধারণ মানুষ টিকিট কেটে মেট্রোরেলে উঠতে পারছেন।

তবে একসঙ্গে অনেক বেশি যাত্রী টিকিট কেনার কারণে মেট্রো স্টেশনের টিকিট বিক্রির মেশিনগুলো কিছু সময় পরপর হ্যাং হতে দেখা যায়।  যাত্রীর চাপ বেশি পড়ার ফলে মেশিনের স্ক্রিনে লেখা উঠছিল ‘এই মেশিনটি কিছু সময়ের জন্য বিকল আছে। অনুগ্রহ পূর্বক অন্য মেশিন ব্যাবহার(ব্যবহার) করার জন্য অনুরধ(অনুরোধ) করা হইল (হলো) অথবা টিকেট অফিসে যোগাযোগ করুন’। তবে কিছু সময় পর মেশিনগুলো সক্রিয় হচ্ছিল। যাত্রীরা একটি বাংলা বাক্য লিখতে তিন-চারটি বানান ভুল, বিষয়টির সমালোচনা করেছেন।

জানা গেছে, মেট্রোরেল চলবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, দিনে ৪ ঘণ্টা। সর্বোচ্চ ২০০ যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রোরেল। পরে চলাচল ও যাত্রী বাড়ানো হবে। আপাতত প্রতি মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল।

মেট্রোরেলে কী করা যাবে, আর কী কী করা যাবে না, এ বিষয়ে একটি পুস্তিকা তৈরি করা হয়েছে। নিয়মগুলো মেনে চলার জন্য সাধারণ যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।

রাজধানীর নাগরিকদের স্বস্তি দিতে মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয় ২০০৫ সালে। মূল কাজ শুরু হয় ২০১৬। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রোরেলটির ১১.৭৩ কিলোমিটারের যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এতে মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডে উত্তরা থেকে আগারগাঁও চলে আসবে মানুষ।

দেশের মেট্রোরেলটি পিলারের মাধ্যমে মাটির ওপরে নির্মাণ করা হয়েছে-যাকে বলা হয় ওভারগ্রাউন্ড এলিভ্যাটেড এক্সপ্রেস। এছাড়া বিশ্বের অনেক শহরে মাটির নিচ দিয়েও মেট্রোরেল চলাচল করে, যা আন্ডারগ্রাউন্ড, সাবওয়ে বা টিউব নামে পরিচিত।


আরও পড়ুন: