এশিয়া কাপের ১৫তম আসরে শ্রীলঙ্কার ষষ্ঠ শিরোপা জয়
খেলা ডেস্ক
287
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১১:০৯:৪৪ এএম
ফাইনালের আগে বেশ আলোচনা হচ্ছিল টস নিয়ে। ইতিহাস বলছিল, টস জিতলেই যে আরব আমিরাতের মাটিতে ম্যাচ জেতা হয়ে যায় অনেকটাই! সেই টসে আজ জিতেছিল পাকিস্তান, নিয়েছিল ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত। টুর্নামেন্টে টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া, এরপর রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার যে ধারা চলে আসছিল, তাতে পাকিস্তানের জয়টাকেই মনে হচ্ছিল সম্ভাব্য নিয়তি।রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ম্যাচটি শুরু হয়।
লঙ্কানদের দেয়া ১৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২২ রানে বাবর আজম ও ফখর জামানকে পরপর দুই বলে আউট করেন প্রমোদ মাধুশান। তৃতীয় উইকেটে ইফতেখারকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা চালান রিজওয়ান। দলীয় ৯৩ রানে ইফতেখারকে বিদায় করেন মাধুশান। ম্যাচে এটি ছিল মাধুশানের তৃতীয় উইকেট। এরপর দ্রুতই মোহাম্মদ নওয়াজকে আউট করেন করুণারত্নে। পাকিস্তানের ইনিংসের ১৭তম ওভারে বল করতে এসে এক ওভারে তিন উইকেট তুলে শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত করেন হাসারাঙ্গা। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে রিজওয়ান, তৃতীয় বলে আসিফ আলী ও পঞ্চম বলে খুশদিল শাহকে তুলে নেন হাসারাঙ্গা। রিজওয়ান বিদায়ের আগে ৪৯ বলে ১ ছয় ও ৪ চারে ৫৫ রান করেন। শেষ দিকে হারিস রউফের ৯ বলে ১৩ শুধু রানের ব্যবধানই কমায়।
লঙ্কানদের হয়ে প্রমোদ মাধুশান ৪টি, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৩টি, চামিকা করুণারত্নে ২টি ও মহেশ থিকসানা একটি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। পাক বোলারদের সামনে দলীয় ৫৮ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। ষষ্ঠ উইকেটে হাসারাঙ্গা ও রাজাপাকশে লঙ্কানদের ম্যাচে ফেরান। এ দুজন সংগ্রহ করেন ৫৮ রান। দলীয় ১১৬ রানে হাসারাঙ্গা ২১ বলে ১ চার ও ৫ ছয়ে ৩৬ রান করেন। কিন্তু অপরপ্রান্তে থেকে যান রাজাপাকশে। শেষ দিকে পাকিস্তানের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান রাজাপাকশে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ১৭০ রান সংগ্রহ করে। রাজাপাকশে ৪৫ বলে ৩ ছয় ও ৬ চারে ৭১ রান ও চামিকা করুণারত্নে ১৪ বলে ১ ছয়ে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ ৩টি, নাসিম শাহ, শাদাব খান ও ইফতেখার আহমেদ একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগের সবগুলো আসরে অংশ নিয়ে শ্রীলঙ্কা ৫ বার এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তোলে। অন্যদিকে পাকিস্তান জিতেছে ২ বার। শ্রীলঙ্কা ১৯৮৬, ১৯৯৭, ২০০৪, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়া ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯০-৯১, ১৯৯৫, ২০০০ ও ২০১০ সালে রানার্সআপ হয়েছিল। অন্যদিকে পাকিস্তান ২০০০ ও ২০১২ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আর ১৯৮৬ ও ২০১৪ সালে হয়েছিল রানার্সআপ। আসরের সবচেয়ে বেশি চ্যাম্পিয়ন ভারত। তারা শিরোপা ঘরে তুলেছে ৭ বার।
পাকিস্তান একাদশঃ বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফাখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, শাদাব খান, আসিফ আলি, মোহাম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, হারিস রউফ এবং মোহাম্মদ হাসনাইন।
শ্রীলঙ্কা একাদশঃ পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), ধনঞ্জয় ডি সিলভা, দানুসকা গুনাথিলাকা, ভানুকা রাপাকসে, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, চামিকা করুনারত্নে, মহেশ থিকসানা, প্রমোদ মাধুশান ও দিলশান মাধুশাঙ্কা।
আরও পড়ুন:
খেলা সম্পর্কিত আরও
২৪ বছর পর নিজেদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল ভারত
০৪ নভেম্বর ২০২৪
নেপালকে কাঁদিয়ে ফের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশী নারীরা
৩১ অক্টোবর ২০২৪
এল ক্লাসিকোঃরিয়ালের জালে বার্সার এক হালি গোল
২৭ অক্টোবর ২০২৪
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্নভঙ্গ করে বিস্বকাপের ট্রফি ঘরে তুললো নিউজিল্যান্ড
২১ অক্টোবর ২০২৪
আফগানিস্তানের কাছে বাংলাদেশের হার
২১ অক্টোবর ২০২৪
বলিভিয়াকে গোল বন্যায় ভাসালো আর্জেন্টিনা,মেসির হ্যাটট্রিক
১৬ অক্টোবর ২০২৪