ঢাকা বুধবার
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
০৬ নভেম্বর ২০২৪

বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট, ভোগান্তিতে সাধারণ ক্রেতারা


ডেস্ক রিপোর্ট
11

প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১০:১২:৫২ এএম
বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট, ভোগান্তিতে সাধারণ ক্রেতারা ফাইল-ফটো



বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে হাতে গোনা দু-তিনটি কোম্পানি ছাড়া অন্য 
নো ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না। কয়েকটি ব্র্যান্ডের তেল মিললেও চাহিদার তুলনায় তা পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ একেবারেই কম।তবে বাজারে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের সরবরাহ ঠিক আছে;পণ্য দুটির দামও কিছুটা কমেছে।

সূত্র থেকে জানা গেছে, বাজারে প্রায় এক মাস ধরে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট চলছে। সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমালে সরবরাহ কিছুটা বাড়ে।তবে গত এক সপ্তাহ ধরে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ আবার কমিয়ে দিয়েছে বড় কোম্পানিগুলো।

গতকাল রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। 

তাদের ভাষ্যমতে ‘আগে নিয়মিত ৫ থেকে ৬টি কোম্পানি তেল দিত, দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে মাত্র দুটি কোম্পানি তেল দিচ্ছে। যা দিয়ে আমাদের চাহিদার ১০ শতাংশও পূরণ হচ্ছে না। বাকি কোম্পানিগুলোর ডিলাররা জানাচ্ছেন তারা পর্যাপ্ত তেল পাচ্ছেন না।সপ্তাহখানেক আগেও ডিলাররা প্রায় ২০ কার্টন করে তেল দিত। এখন সেই তিন কোম্পানি একটাও তেল দিচ্ছে না।’

এখন ক্রেতারা দোকানে এসেই আগে তেল খুঁজেন। যদি তেল দিতে না পারেন তাহলে তারা অন্য পণ্য কিনতে চান না। বাজারে নতুন করে তেলের দাম বাড়াতেই কোম্পানিগুলো এমন তালবাহানা করছেন বলেও এই বিক্রেতা জানান।

ভোজ্যতেল সরবরাহকারী বড় এক প্রতিষ্ঠানের বিতরণ শাখার এক কর্মকর্তার মাধ্যমে জানা যায় ‘তারা এলসি খুলতে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন না। বরং একাধিকবার এলসি বাতিল করা হয়েছে। যার কারণে বাজারে আমাদের তেল সরবরাহ কমে গেছে।’

 

ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘ভ্যাট কমানোসহ নানা সুবিধা দেওয়ার পরও ভোজ্যতেল সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো তেলের দাম না কমিয়ে উল্টো সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। রমজান মাস আসছে। এখনি যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে এবারের রমজান অস্বস্তিকর হতে পারে। আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টি আমলে নিয়ে এখন থেকেই ব্যবস্থা নিবে। রমজানের এক মাস বা ১৫ দিন আগে ব্যবস্থা নিলে এর সুফল ভোক্তারা পাবে না।’

তিনি বলেন, ‘বাজারে খোলা তেল পাওয়া গেলেও ভেজালের ভয়ে অনেক ভোক্তা খেতে চায় না। আবার অনেকে এটি খেতে অভ্যস্ত না হওয়ায় খোলা তেল কিনতে আগ্রহী না।’

বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ভোজ্য তেলের ওপর বর্তমানে প্রযোজ্য আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর আগে ১৬ অক্টোবর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপনীয় ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়। ফলে বর্তমানে কেবল আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট চালু রয়েছে।

টিসিবির হিসাবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২ টাকা ও পাম তেলের দাম ১ টাকা কমেছে। বর্তমানে এক লিটার খোলা সয়াবিন ১৬৫ থেকে ১৬৮ টাকা এবং এক লিটার খোলা পাম তেল ১৫৭ থেকে ১৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৭ থেকে ১৭০ টাকায়।


আরও পড়ুন: