ঢাকা শুক্রবার
২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৮ এপ্রিল ২০২৪

মালয়েশিয়ায় কাজ না পেয়ে দুর্ভোগে প্রবাসী কর্মীরা


ডেস্ক রিপোর্ট
170

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | ০৩:০৪:৩৭ পিএম
মালয়েশিয়ায় কাজ না পেয়ে দুর্ভোগে প্রবাসী কর্মীরা ফাইল-ফটো



মালয়েশিয়া সরকারের বাছাই করা সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে একজন কর্মীকে বিদেশে যেতে কমপক্ষে সোয়া ৪ লাখ টাকার মতো খরচ করতে হচ্ছে। দালালদের হাত ঘুরে এলে এই টাকার পরিমাণ আরো বাড়ছে।

এর মধ্যে কর্মীর পাসপোর্ট ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া শুধু ঢাকাতেই বিমান ভাড়াসহ সিন্ডিকেটকে প্রসেসিং ফি বাবদ দুই লাখ টাকার বেশি দিতে হচ্ছে। যার বেশির ভাগই হুন্ডির মাধ্যমে দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বাকি টাকা খরচ হচ্ছে মালয়েশিয়ায় চাহিদাপত্র কেনাসহ অন্যান্য খাতে। যদিও শ্রমবাজার খোলার লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে হওয়া এমওইউ চুক্তি অনুযায়ী মালয়েশিয়াগামী একজন কর্মীর জন্য অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৯ হাজার টাকা। এতেই থেমে নেই মালয়েশীয়াগামী কর্মীদের দুর্ভোগ। দেশটিতে গিয়ে কোম্পানির নির্ধারিত চাকরি না পেয়ে বিপাকে পড়ছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিরা। 

২০২১ সালে মালয়েশিয়ার সাথে শ্রমিক রপ্তানি করতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। তবে,দীর্ঘ দিন পার হলেও দেশটিতে শ্রমিক পাঠানো হয়েছে মাত্র ৬০ হাজারের মত। শ্রমিকের সংখ্যা কম হলেও দেশটিতে গিয়ে কোম্পানি না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন  অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক। এমন অভিযোগ ইতোমধ্যে উঠতে শুরু করেছে। রিপোর্টারস ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্টস (আরবিএম) এর সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজ হোসেন গাজী বলেন, এ্যাপ্রোভাল অনুযায়ী কর্মী নিতে শুরু করা অনেক কোম্পানিই কর্মী নিয়ে কাজ দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের জন্য ভয়াবহ অশনি সংকেত। 

মালয়েশিয়া প্রবাসী সাংবাদিক ওয়াহিদ সোহান মনে করেন, এর পেছনে বাংলাদেশি কিছু অসাধু চক্র জড়িত রয়েছে। যারা মালয়েশিয়ার কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ে যোগসাজশে এধরনের কাজ করছে। তবে, জনশক্তি রপ্তানি কারকদের সংগঠন বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, যেহেতু ভিসার এপ্রোভাল দেয় মালয়েশিয়া সরকার, সেহেতু এর দায় এড়াতে পারেনা দেশটির সরকার। তাই ভিসা এপ্রোভাল করার আগে দেশটির অথরিটিকে তদন্ত করে দেখার আহবান জানান অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা।


আরও পড়ুন: