ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
৩১ অক্টোবর ২০২৪

যুক্তরাজ্যে পড়তে গেলে নেওয়া যাবে না পরিবার, নতুন আইন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক
415

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২৩ | ১১:০৫:৪০ এএম
যুক্তরাজ্যে পড়তে গেলে নেওয়া যাবে না পরিবার, নতুন আইন ফাইল-ফটো



জুয়েল রাজ, লন্ডন থেকে: যুক্তরাজ্য বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের ওপর কড়া নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে। এই নতুন অভিবসান নীতিতে বিদেশি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ছাত্রদের ওপর। নতুন অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা আসলে কোনো বিদেশি  শিক্ষার্থী আর স্ত্রী বা সন্তানদের নিয়ে আসতে পারবেন না।
কারণ হিসাবে সরকার অভিবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াকে উল্লেখ করেছে।

আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে-  এই বছর বৈধ অভিবাসন ৭ লাখের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৮ টি ভিসা দেওয়া হয়েছে শীক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের। যা ২০১৯ সালের সংখ্যায় প্রায় ৯ গুণ। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন এই পদক্ষেপ অভিবাসন কমাতে সাহায্য করবে।

অভিবাসন নীতি সবসময়ই যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে একটি উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়। সরকারী দল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নেট মাইগ্রেশন প্রতিবছর ১ লাখের নীচে রাখবে। কিন্ত বারবার ব্যার্থ হওয়াতে ২০১৯ সালে সেই লক্ষমাত্রা তারা বাতিল করে দেয়। 
  
শুধুমাত্র গত বছরই (ডিপেন্ডেন্ট) নির্ভরশীলদের ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৮জনকে ভিসা দিয়েছে দেশটি। দেশটির স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্র‍্যাভারম্যান বলেছেন, আমরা যে অভিবাসন কমানোর কথা বলছি, শিক্ষার্থীদের পরিবার আনার নীতি কঠোর করে সেই সংখ্যা আমরা কমাতে পারি। তাই এই নিয়মে কড়াকড়ি  আরোপের সময় এসেছে। 

 

 

তবে গবেষণা পর্যায়ের ( পিএইচডি'র) ক্ষেত্রে আবার এই নিয়ম কার্যকর হবে না। উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা, প্রচলিত নিয়মেই তাদের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে আসতে পারবেন।অন্যদিকে শিক্ষা সচিব গিলিয়ান কিগানসহ কিছু মন্ত্রী যুক্তি দিয়েছিলেন যে- তারা দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে বসবাসের কারণে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবেন।

আবার  ইউনিভার্সিটিজ ইউকে (ইউ ইউ কে ) এই নতুন নিয়মকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, নির্ভরশীলতার সংখ্যা বাড়লে পারিবারিক বাসস্থান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা'র ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে। তাই ইউ ইউ কের পরিচালক জেমি অ্যারোস্মিথ এই পদক্ষেপ কে যুক্তিযুক্ত বলছেন। 

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ ইউনিয়ন এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। এটিক বৈষম্যমূলক  বলে অভিহিত করছে। এর সাধারণ সম্পাদক জো গ্র‍্যাডি বলেন, যে সব বিদেশি শিক্ষার্থীর পরিবার আমাদের দেশে আসে তাঁরা আমাদের সমাজের জন্য বিশাল মূল্য নিয়ে আসে, পড়াশোনার সময় তাদের প্রিয়জনের পাশে থাকার অধিকার তাদের রয়েছে।


আরও পড়ুন: