ঢাকা শনিবার
২০ এপ্রিল ২০২৪
২৭ মার্চ ২০২৪

মুম্বাইকে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে হার্দিকের গুজরাট


খেলা ডেস্ক
178

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৩ | ১১:০৫:৩২ এএম
মুম্বাইকে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে হার্দিকের গুজরাট ফাইল-ফটো



শুবমান গিলের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েছিল গুজরাট টাইটান্স। আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শেষ পর্যন্ত সেই পাহাড়েই পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স পিষ্ট হয়েছে। তাদের ৬২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাট। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ চেন্নাই সুপার কিংস। 

২৩৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা মুম্বাই কক্ষপথেই ছিল সূর্যকুমার যাদব যতক্ষণ টিকে ছিলেন। বড় লক্ষ্যের বিপরীতে শুরুটা ভালো ছিল না যদিও। ২১ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন নেহাল ওয়াধেরা (৪) ও রোহিত শর্মা (৮)। তার পর তিনটি জুটিতে জয়ের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে অবদান রাখেন সূর্যকুমার। সূর্য কুমার-তিলক বর্মা জুটিতে ৫১ রান যোগ হয়েছে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে তিলক বর্মা ৪৩ রানে ফিরলে ভাঙে জুটি। তিলকের ১৪ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়। তার পর ক্যামেরন গ্রিনের সঙ্গে মিলে আরও ৫১ রান যোগ করেন সূর্য। সেই জুটিও বড় হয়নি গ্রিন ২০ বলে ৩০ রান করে ফিরলে। প্রান্ত আগলে তার পরেও সূর্য ঝড় অব্যাহত রাখেন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ফিফটিও। আরও চড়াও হতে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় ১৪.৩ ওভারে তাকে বোল্ড করে মুম্বাইয়ের মূল প্রতিরোধ ভেঙে দেন পেসার মোহিত শর্মা। ফেরার আগে সূর্য ৩৮ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রান করেছেন। তার পর গুটিয়ে যেতে সময় লাগেনি মুম্বাইয়ের। ১৮.২ ওভারে তারা ১৭১ রানে অলআউট হয়েছে। 

একাই মুম্বাইয়ের প্রতিরোধ ভেঙেছেন মোহিত শর্মা। ১০ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। দুটি করে নিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ ও রশিদ খান। 

আহমেদাবাদে বৃষ্টিতে ম্যাচ শুরু হয় ৩০ মিনিট দেরিতে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ব্যর্থ হওয়া গুজরাটের এটাই ছিল শেষ সুযোগ। ফলে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচটা শুরুতেই তারা রানের পাহাড় গড়ে মুম্বাইয়ের নাগালের বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। যার পেছনে বড় অবদান ওপেনার শুবমান গিলের। বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে একাই মুম্বাইয়ের বোলারদের শাসন করেছেন। ৫৪ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙে ঋদ্ধিমান সাহা (১৮) বিদায় নিলে। তার পর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে অপ্রতিরোধ্য থেকেছেন গিল। সাই সুদর্শনের সঙ্গে ১৩৮ রানের জুটিতে দলের স্কোর দুইশর কাছাকাছি নিয়ে আউট হয়েছেন। ফেরার আগে ৬০ বলে ১২৯ রান করেন তিনি। তাতে ছিল ৭টি চার ও ১০টি ছয়ের মার। আইপিএল প্লেঅফে এটাই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। অসাধারণ ইনিংসে ম্যাচসেরাও হয়েছেন গিল। 

সুদর্শন ৩১ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ রানে স্কোর দুইশ পার করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়েছেন। তার পর অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ১৩ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ২৮ রানে স্কোরটাকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন। তার অবদানেই স্কোর ৩ উইকেটে ২৩৩ রান পর্যন্ত গেছে। যা আবার আইপিএল প্লেঅফে দলীয় সর্বোচ্চও। আগের সর্বোচ্চটি ছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ৬ উইকেটে ২২৬। ২০১৪ সালে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে এই স্কোর করেছিল তারা।    

মুম্বাইয়ের হয়ে একটি করে উইকেট নেন আকাশ মাধওয়াল ও পিযুশ চাওলা। 


আরও পড়ুন: