ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
১৬ অক্টোবর ২০২৪

১৪ বছর পর ফাইনালে আবাহনী-মোহামেডান


খেলা ডেস্ক
271

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৩ | ০১:০৫:২০ পিএম
১৪ বছর পর ফাইনালে আবাহনী-মোহামেডান ফাইল-ফটো



মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব থেকে এখন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তাদের সে কি দাপট। রয়েছে হ্যাটট্রিক শিরোপাও। অথচ পেশাদার লিগ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ট্রফি নেই লিগে। ফেডারেশন কাপে তাদের সর্বশেষ ফাইনালে খেলা ২০০৯ সালে। সেবারই ফেডারেশন কাপে শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আর ক্লাব ফুটবলে তাদের সর্বশেষ ট্রফিতে হাঁত ছোঁয়ানো ২০১৪ সালে স্বাধীনতা কাপে। এরপর না আছে ফাইনালে খেলার রেকর্ড। না আছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব। আজ তাদের অপেক্ষার পালার অবসানের সুবর্ণ সুযোগ। ১৪ বছর পর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে তারা পাচ্ছে ঢাকা আবাহনীকে। কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে বিকেল সোয়া ৩টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে জিতলেই শিরোপার অপেক্ষা ঘুচবে সাদা-কালো শিবিরের। অন্য দিকে এবার বাকি দুই শিরোপা হারানো আবাহনীর শেষ সুযোগ ফেডারেশন কাপ জিতে আসরে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা।
২৬ মে এই কুমিল্লায় লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী ও মোহামেডান। ফাইনালের আগে কার্যত ড্রেস রিহার্সেলের সেই ম্যাচ অবশ্য কোনো দলই জিততে পারেনি। ১-১ গোলে ড্র হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের খেলা। যেকোনো ফাইনালে দুই দলের শেষ দেখায় অবশ্য জয় মোহামেডানেরই। ২০০৯ সালে এই ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহামেডান।
দেশের মানুষ তথা ক্রীড়াপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে বসে থাকে এ দুই দলের ফাইনাল দেখার জন্য। অবশেষে তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে আজ। সে সাথে প্রথমবার কোচ হিসেবে ট্রফি জয়ের পালা আলফাজ আহমেদের। এই প্রথম মোহামেডানের হেড কোচ তিনি। দলকেও তুলেছেন ফাইনালে। গত বছর ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ জিতেছিল আবাহনী। তবে লিগে ব্যর্থ। এবার স্বাধীনতা কাপের ফাইনালেই উঠতে পারেনি। লিগে রানার্সআপই হতে পারবে। এখন শেষ সুযোগ ফেডারেশন কাপ জিতে অন্তত একটি ট্রফিতে হাত ছোঁয়ানো। যা কোচ মারিও লেমসের জন্যও চ্যালেঞ্জ।
ফেডারেশন কাপ জেতা এখন আর শুধু ক্লাবের ভাণ্ডারে একটি ট্রফিই জমা করা নয়। এ আসরে চ্যাম্পিয়ন হলে এএফসি কাপের প্লে-অফে খেলার ছাড়পত্র মেলে। আবাহনী গত কয়েক বছর ধরেই এই আসরের গ্রুপ পর্ব বা প্লে-অফে প্রতিনিধিত্ব করছে। তবে মোহামেডান সেই ২০০৫ সালের পর আর খেলতে পারেনি। আজ আলফাজ বাহিনীর জয় ট্রফির খরা যেমন ঘোচাবে তেমনি এএফসি কাপে খেলার টিকিটও পাইয়ে দেবে। অবশ্য এ জন্য এএফসি কাপের লাইসেন্স পেতে হবে।
মোহামেডান এই ফাইনালে পৌঁছাতে সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছে শক্তিশালী বসুন্ধরা কিংসকে সেমিতে ২-১ গোলে হারিয়ে। আর আবাহনী সেমিফাইনালে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় শেখ রাসেলকে। কোয়ার্টার ফাইনালে মোহামেডান ৪-১ গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে এবং ঢাকা আবাহনী ১-০ গোলে লে. শেখ জামালকে হারায়। গ্রুপ পর্বে আবাহনী ১-০ গোলে পুলিশকে হারানোর পর ৩-৩ গোলে ড্র করে শেখ রাসেলের সাথে। মোহামেডান গ্রুপ পর্বে ১-০তে রহমতগঞ্জ, ৭-০ গোলে আজমপুর এফসিকে হারিয়ে ২-২ গোলে ড্র করে শেখ জামালের সাথে।
আজ এক গোল করলে ৫ গোল দিয়ে এককভাবে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হবেন মোহামেডান ক্যাপ্টেন সোলেমান দিয়াবাতে। বর্তমানে তার সাথে চারটি করে গোল মুক্তিযোদ্ধার ইমানুয়েল ও বসুন্ধরার ডরিয়েলটনের।
৪০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা মোহামেডানের
দীর্ঘ দিনের শিরোপা খরা ঘোচানোর সুযোগ মোহামেডানের সামনে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলে ফুটবলার ও কোচিং স্টাফদের জন্য ৪০ লাখ টাকা বোনাস ঘোষণা করেছেন ক্লাবের অন্যতম পরিচালক ও ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর।
মোহামেডানের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এলেও আবাহনীর তরফ থেকে কিছু জানা যায়নি। গত মৌসুমে ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ দুই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আবাহনী ৭৫ লাখ টাকা বোনাস দিয়েছিল।


আরও পড়ুন: