ঢাকা শুক্রবার
২৬ এপ্রিল ২০২৪
২৩ এপ্রিল ২০২৪

অসহনীয় গরম থাকতে পারে আরও ৫-৬ দিন


ডেস্ক রিপোর্ট
193

প্রকাশিত: ০৬ জুন ২০২৩ | ১১:০৬:৪৬ এএম
অসহনীয় গরম থাকতে পারে আরও ৫-৬ দিন ফাইল-ফটো



দেশের বেশ কিছু জেলায় তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। বাকি অংশের ওপর দিয়ে মৃদু ও মাঝারি দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। অস্বস্তিকর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তবে বর্ষা না আসা পর্যন্ত এই গরম পুরোপুরি কমার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সংস্থাটি বলছে, আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিন আবহাওয়ার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকবে। শিগগির বৃষ্টির কোনো লক্ষণ নেই।

সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশসহ ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও বান্দরবান জেলাগুলোর উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরেই দেশের কোথাও বৃষ্টির দেখা নেই। ফলে তাপপ্রবাহের এলাকার পরিধি বেড়েই চলেছে। তীব্র দাবদাহের মধ্যে জনজীবন অসহনীয় করে তুলেছে লোডশেডিং। খোদ রাজধানীতে দিন-রাত মিলিয়ে ৬ থেকে ৮ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। গ্রামপর্যায় এ পরিস্থিতি আরও অসহনীয়। তীব্র গরমের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস ৫ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সবচেয়ে কষ্টে ভুগছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। বিশেষ করে রিকশাওয়ালা, বাসের ড্রাইভার-হেলপার, হকার, নির্মাণ শ্রমিকরা এই তীব্র তাপকে উপেক্ষা করেই কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, মৌসুমী বায়ু এখনও বাংলাদেশ উপকূল থেকে অনেক দূরে আছে। টেকনাফের উপকূলে আসতে পারে ১২ জুনের দিকে। এরপর চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেটেএ দিকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এরপর ধীরে ধীরে দেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে এই বৃষ্টি। তবে তার আগে ১২ জুন থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হতে পারে।

তিনি বলেন, এই মৌসুমী বায়ু আসার আগের সময়ে আবহাওয়া এমনই থাকে। বাতাসে আদ্রতা বেশি হওয়ায় মানুষ তাপমাত্রা যা তারচেয়ে বেশি অনুভব করছে। ঘাম হচ্ছে অতিরিক্ত। ফলে ভোগান্তিতেও বেশি।


আরও পড়ুন: