ঢাকা বৃহস্পতিবার
০২ মে ২০২৪
১৭ মার্চ ২০২৪

রক্তশূন্যতা কেন হয়


ডেস্ক রিপোর্ট
137

প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | ০১:১০:২৬ পিএম
রক্তশূন্যতা কেন হয় ফাইল-ফটো



রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের নিচে নেমে গেলে তাকে অ্যানিমিয়া বলে। হিমোগ্লোবিন একটি বিশেষ রক্তের রঙ্গক। এর প্রধান কাজ শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করা। লোহিত রক্ত ​​কণিকায় হিমোগ্লোবিন থাকে। লোহিত রক্ত ​​কণিকার সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণেও অ্যানিমিয়া হতে পারে।

রক্তশূন্যতার অনেক কারণ আছে, তবে সেগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে ব্যাঘাত: আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা। ভিটামিন বি, ফোলেটের অভাবজনিত অ্যানিমিয়া, অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া (অস্থি মজ্জার উত্পাদন হ্রাসের কারণে), বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী রোগের প্রভাব (কিডনি ব্যর্থতা, লিভার ব্যর্থতা, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি)। লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার দ্বারা সৃষ্ট।

আমাদের দেশে আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতার হার সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য।

লোহিত রক্ত ​​কণিকার দ্রুত ভাঙ্গন: জন্মগত কারণ (যেমন থ্যালাসেমিয়া)। কিছু সংক্রামক রোগ (যেমন ম্যালেরিয়া)। ইমিউন সিস্টেমের জটিলতা।

রক্তপাত: পরজীবী, পেটের আলসার, ব্যথানাশক ওষুধের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার, ভিড়, ভারী মাসিক, দুর্ঘটনাজনিত রক্তপাত ইত্যাদি।

লক্ষণ

চোখ,  মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া,  দুর্বল লাগা,  অবসাদগ্রস্ত হওয়া,  মাথা ঘোরা,  বমির ভাব,  মাথাব্যথা,  চোখে ঝাপসা দেখা,  মুখে ঘা,  খাবার গিলতে অসুবিধা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এনিমিয়া বেশি হলে শ্বাসকষ্ট,  বুকে চাপ লাগা ব্যথা এমনকি হার্টফেইলিউর পর্যন্ত হতে পারে।

রক্তশূন্যতার চিকিৎসা

রক্তস্বল্পতা আসলে কোনো রোগ নয়, বরং একটি রোগের লক্ষণ। তাই রক্তস্বল্পতার চিকিৎসার প্রধান পদ্ধতি হলো রক্তশূন্যতার কারণ চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করা। কখনও কখনও, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে, আপনি আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল খেতে পারেন। যেহেতু ডাক্তার পরিস্থিতি বোঝেন, তিনি প্রায়শই শিরায় আয়রন ইনজেকশন দেন।

রক্তশূন্যতা হলে কি খাবেন
দেহে রক্ত ​​উৎপাদনের জন্য আয়রন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে ডালিম, তরমুজ, ড্রাগন ফল, কালো আঙ্গুর, আপেল, বাদাম, লেটুস, পালংশাক, পালং শাক, পালং শাক, কালে, ধনে, টমেটো, কুমড়া, লেবু এবং তাদের বীজ, বিট, কিডনি বিন, নাইটশেড এবং মটর। ডিম ইত্যাদি, কলিজা, মুরগির মাংস এবং ভাল পরিমাণে গরুর মাংস।


আরও পড়ুন: