ঢাকা শনিবার
২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৭ মার্চ ২০২৪

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে যা খাবেন না


ডেস্ক রিপোর্ট
113

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ | ১১:১০:১১ এএম
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে যা খাবেন না ফাইল-ফটো



ইউরিক অ্যাসিড শরীরের প্রাকৃতিক বর্জ্য, যা প্রতিদিন তৈরি হয়। এটি পিউরিন নামক রাসায়নিক থেকে শরীরে আসে। যা দেহে প্রাকৃতিক কোষ ভাঙনের কারণে তৈরি হয়। সবার দেহেই ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এটি নিয়ন্ত্রণহীন হলে নানা রোগের দেখা দেয়।

ইউরিক অ্যাসিডের প্রধান লক্ষণই হল গোড়ালি ফুলে যাওয়া, পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে ব্যাথা ও গাঁটে ব্যথা। যখন ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায় তখনই ডাক্তারের দ্বারস্থ হতে হয়।

শরীরে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে কী কী খাবার খাওয়া যাবে:

  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। দিনের বেলায় বেশি পানি পান করুন। অন্যদিকে রাতে তুলনামূলক কম পানি পান করবেন।
  • তাজা ও মৌসুমি ফল খাবেন। এটি আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখবে। প্রতিদিন কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  • দুধ, দই এবং বাটার মিল্ক নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিড কমে। এগুলো ডায়েটে যোগ করে নিন। প্রতিদিন একবার কিশমিশের সঙ্গে দই খেলে উপকার পাবেন। বাটারমিল্ক শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। নিয়মিত খেলে আপনার পেশি এবং জয়েন্টের ব্যথাও কমবে।
  • প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় এক মুঠো বাদাম রাখবেন। এতে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে যাবে।
  • ডাল রান্নার আগে ভিজিয়ে রাখুন।সঠিকভাবে অঙ্কুরিত হলে এরপর রান্না করুন।
  • প্রতিদিন এক গ্লাস দুধে একচামচ হলুদ মিশিয়ে পান করুন।
  • পালং শাক নির্দিষ্ট অনুপাতে খাবেন।
  • নিয়মিত ডিম খেতে পারেন।
  • মাংস এবং মাছ আপনার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াবে না। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাংস খেতে পারেন।
  • ব্যায়াম করলে হাই প্রোটিনযুক্ত খাবার খাবেন।

 

যা খাবেন না

  • পিউরিনযুক্ত প্রাণিজ প্রোটিন—যেমন গরু ও খাসির মাংস, মাছের ডিম, কলিজা ইত্যাদি। 
  • ফলের মধ্যে আম, কলা, সফেদা, খেজুর, কিশমিশ, আখ, তাল ইত্যাদি। 
  • ডাল, মটরশুঁটি, শিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি ইত্যাদি। 
  • কৃত্রিম রং, চিনি বা কর্ন সিরাপ দেওয়া খাবার। 
  • কোলাজাতীয় পানীয়, রং দেওয়া জেলি, জ্যাম, সিরাপ, কৌটাবন্দী ফ্রুট জুস ইত্যাদি। 
  • খাবারে অধিক পরিমাণে লবণ।

আরও পড়ুন: