ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
২৯ অক্টোবর ২০২৪

সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে


ডেস্ক রিপোর্ট
190

প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২:১২:৩৭ পিএম
সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ফাইল-ফটো



বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপের পর অবশেষে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিগজাউম’।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
রোববার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। 
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 
চট্টগ্রাম, মংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। 
আগামী ৫ অথবা ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে উপকূলীয় ও অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে চলাচলকারী সব ধরনের নৌযানকে ২ ডিসেম্বর থেকেই থেকে আবহাওয়া সংকেত ও বিআইডব্লিউটিএ'র জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। একইসঙ্গে আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দেশের নৌ-রুটে চলাচল করা নৌযান বন্ধ রাখার বা নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এরপর এটি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাবে। এরপর এটি দক্ষিণ অন্ধ-প্রদেশ উপকূল ঘেঁষে এগিয়ে মঙ্গলবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের ১৩ দেশের (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন) আবহাওয়া-বিদদের সংস্থা এস্কেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে। ‘মিগজাউম’ নামটি মিয়ানমারের দেওয়া।


আরও পড়ুন: