ঢাকা বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডায়াবেটিক রোগীর পায়ের যত্ন যেভাবে নেবেন


ডেস্ক রিপোর্ট
268

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১:১২:৪২ এএম
ডায়াবেটিক রোগীর পায়ের যত্ন যেভাবে নেবেন ফাইল-ফটো



ডায়াবেটিক রোগীর পায়ের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একজন ডায়াবেটিক রোগীর পা কাটা পড়ার ঝুঁকি নন-ডায়াবেটিক রোগীর তুলনায় ২৫ গুণ বেশি। আর এ জন্য যে শুধু সংক্রমণ দায়ী তা নয়, স্নায়ু দৌর্বল্যের কারণে পায়ে অনুভূতি-হীনতা, ধমনিতে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হওয়া, সহজে জখম ও সংক্রমণ, ক্ষত ও গঠন বিকৃতি—সব কিছু মিলিয়ে ডায়াবেটিক রোগীর পা দুটি খুবই নাজুক অবস্থায় থাকে। তাই তাদের পায়ের একটি আলাদা নামও আছে চিকিৎসাবিজ্ঞানে, আর সেটি হচ্ছে ‘ডায়াবেটিক ফুট’।

ডায়াবেটিস রোগীরা পায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন?

১. প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে পা ভালো করে দেখবেন কোন আঘাত বা ঘা, স্কিন কালার পরিবর্তন, কর্ণ আছে কিনা।
২. নখ কাটার সময় সোজা করে কাটবেন,সাইড দিয়ে বেশি ডিপ কাটবেন না।নখ যখন নরম থাকে,যেমন গোসলের পর, তখন কাটবেন।
৩. নরম জুতা পড়বেন,প্লাস্টিকের শক্ত জুতা পড়বেন না।জুতা যেন পায়ের মাপ মত হয়।হাই হিল পড়বেন না।স্যান্ডেল না পড়ে, ফিতেওয়ালা জুতা পড়বেন।
৪. কুসুম গরম পানি এবং সাবান (সম্ভব হলে তরল সাবান) দিয়ে পা ধুয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে না ঘষে আলতো করে মুছে শুষ্ক করে নিন। বিশেষ করে আঙুলের ফাঁক শুষ্ক রাখা খুব জরুরি। এরপর আর্দ্রতা রক্ষাকারী লোশন ব্যবহার করুন।
৫. ধূমপান, পা ভাঁজ বা ক্রস করে বসা এড়িয়ে চলুন। এতে পায়ের রক্ত চলাচল ঠিক থাকবে।
৬. নিয়মিত পায়ের যত্ন নিন। যেমন—পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও তেল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার, কখনোই খালি পায়ে না হাঁটা, কড়া বা উঠে যাওয়া চামড়া নিজে নিজে না তোলা ইত্যাদি।
৭.রাতে শোয়ার আগে পা পরীক্ষা করতে হবে। যেকোনো সামান্য পা ফাটা, রঙের পরিবর্তন, কাটা, পোড়া বা ছত্রাক সংক্রমণ, ঘা ইত্যাদিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিন ও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

চিকিৎসা
রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে পায়ের ধমনি পরীক্ষা করে বা কালার ডপলার আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। কিছু ওষুধের মাধ্যমে ব্যাহত রক্ত চলাচলের কিছুটা উন্নতি করা যায়। তবে এনজিওগ্রাফি, বেলুন এনজিওপ্লাস্টি, স্টেন্টিং বা রিং বসানো, বাইপাস অপারেশনের মাধ্যমে অনেক সময় পা কাটার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগেই সঠিক ও কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক নির্বাচন ও প্রয়োগ, নিয়মিত ড্রেসিং জরুরি।


আরও পড়ুন: