ঢাকা শনিবার
০৪ মে ২০২৪
২৭ মার্চ ২০২৪

শান্তকে দীর্ঘমেয়াদে অধিনায়ক দেখতে চান হাথুরুসিংহ


খেলা ডেস্ক
136

প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০৭:১২:৪৮ পিএম
শান্তকে দীর্ঘমেয়াদে অধিনায়ক দেখতে চান হাথুরুসিংহ ফাইল-ফটো



নাজমুল হোসেন শান্তকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের ডেপুটি করে পাঠানো হয়েছিল। সাকিবের অনুপস্থিতিতে বড় আসরে দুই ম্যাচ নেতৃত্ব দেন তিনি। বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম-অ্যাওয়ে দুই সিরিজেই অন্তর্বর্তী অধিনায়কের দায়িত্ব সামলেছেন এ বাঁহাতি ব্যাটার। তার নেতৃত্বে মিলছে কিছু সাফল্যও। ভবিষ্যৎ বিবেচনায় এই তরুণকে লম্বা সময় দায়িত্ব দেওয়া যায় কিনা, এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সরাসরি মন্তব্যে না গেলেও তার পক্ষেই থাকলেন চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে।

ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের মতে, আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো তিন সংস্করণে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু খেলার বাইরে অন্যান্য ব্যস্ততা ও চোটে তাকে সব সময় পাওয়া যাচ্ছে না। তা ছাড়া বিশ্বকাপের আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, বিশ্বকাপের পর আর একদিনও অধিনায়কত্ব করবেন না।

গত এক মাসে একাধিকবার শান্তর নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন হাথুরুসিংহে। নিউ জিল্যান্ড সফরের শেষ দিনেও কোচের কণ্ঠে আবার ফুটে উঠল সেই স্তুতি।
এমন জয়েরে পর আবারও আলোচনায় অধিনায়ক হিসেবে শান্তকে নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা কেমন হতে পারে। এ নিয়ে এবার নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তিনি বলেন, ‘এই সিরিজে তারা (বাংলাদেশ) দেখিয়েছে যে তারা মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে শান্তর নেতৃত্ব, যা অসাধারণ ছিল। টেকটিক্যালি স্পট অন ছিল সে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বার্তায়ও তাকে খুব পরিষ্কার দেখা গেছে। সতীর্থদের স্পষ্ট করে বলেছে কার কাছে কী চায়।’

অধিনায়ক শান্ত’র ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে হাথুরুসিংহের ভাষ্য, ‘আমার মনে হয় তারা (বিসিবি) বেশ ভালোভাবেই চিন্তা করবে। অবশ্যই এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। কিন্তু শান্ত যথেষ্ট প্রমাণ রেখেছে, তাকে সিরিয়াসলি নেওয়ার।’

“আরেকটা ব্যাপার হলো, শান্তর নেতৃত্ব। সে অসাধারণ ছিল। ট্যাকটিক্যালি সে নিখুঁত ছিল। ক্রিকেটারদেরকে বার্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব স্বচ্ছ ছিল- তারা কী আশা করতে পারে এবং তাদের কাছ থেকে তার প্রত্যাশা কী। এছাড়াও এবার মৌলিক ব্যাপারগুলি আমরা আগের চেয়ে লম্বা সময় ধরে ঠিকঠাক করতে পেরেছি।”

সিনিয়র ক্রিকেটারদের বেশ কজন না থাকায় দলের মানসিকতায় এমন পরিবর্তন কি না, এই প্রশ্নও উঠল। হাথুরুসিংহে অবশ্য এই প্রসঙ্গের পালে হাওয়া দিলেন না। তবে দলের মানসিকতার ক্ষেত্রেও শান্তর নেতৃত্বের ভূমিকা তুলে ধরলেন কোচ।

“আমি যদি এটা নিয়ে কিছু বলি… তাহলে অনুমান করা হয়ে যাবে। সত্যি বলতে, জানি না… এই ছেলেদের মানসিকতার সঙ্গে সিনিয়রদের না থাকার সম্পর্ক নেই।”
“আমার মনে হয়, ওরা নিজেদের ক্রিকেট উপভোগ করতে চায় এবং ড্রেসিং রুমের আবহ আরও ভালো, কারণ শান্তর দিক থেকে যোগাযোগ খুবই স্বচ্ছ। এই ছেলেরা জানে যে, লড়াই করার মতো যথেষ্ট ভালো তারা। এজন্যই কোনো ভয়ডর নেই ক্রিকেটারদের মানসিকতায়।”

প্রশ্নটি এরপর সরাসরিই করা হলো, দীর্ঘমেয়াদি অধিনায়ক হিসেবে শান্তকেই কি বিবেচনা করা উচিত বিসিবির? হাথুরুসিংহের উত্তরও দিয়ে রাখলেন সরাসরিই।
“আমার মনে হয়, তারা জোর দিয়েই ভাববে এটা। অবশ্যই এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। তবে শান্তকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ সে দিয়েছে।”
মাসের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের পরও হাথুরুসিংহে বলেছিলেন, নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার লড়াইয়ে জোরাল দাবিদার থাকবেন শান্ত।


আরও পড়ুন: