ঢাকা মঙ্গলবার
০৮ অক্টোবর ২০২৪
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হলেন গ্যাব্রিয়েল আট্টাল


ডেস্ক রিপোর্ট
218

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারী ২০২৪ | ০৩:০১:১৭ পিএম
ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হলেন গ্যাব্রিয়েল আট্টাল ফাইল-ফটো



আধুনিক ফ্রান্সের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন রেকর্ড গড়লেন গ্যাব্রিয়েল আট্টাল। ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৩৪ বছরের গ্যাব্রিয়েল আট্টালকে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। আট্টাল দেশটির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে ১৯৮৪ সালে ফ্রাঙ্কোস মিতারেন্ড ৩৭ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশটির সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রীর তকমা পেয়েছিলেন। এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে দিলেন গ্যাব্রিয়েল আট্টাল।

আগের দিন সোমবার দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছরের মধ্যেই পদত্যাগ করেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্নি। চলতি বছরের জুনে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সরকারে রদবদল আনতে পারেন এমন আলোচনার মধ্যে সরকারপ্রধানের পদ ছাড়েন তিনি। 

আগামী জুনে ইউরোপিয়ান সংসদে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে নতুন প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আট্টাল ফ্রান্সকে নেতৃত্ব দেবেন।

ফ্রান্সের রাজনীতিতে গ্যাব্রিয়েল আট্টালের উত্থানটি খুব কম সময়ের মধ্যে হয়েছে। ১০ বছর আগেও ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অপরিচিত এক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী হওয়া পর আট্টাল সাহসী হওয়ার এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে ফ্রান্সে মধ্যবিত্তরা যে সংকটে পড়েছেন তার সমাধান খুঁজে পেতে দ্রুত কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আমি যে প্রেক্ষাপটে এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি সে সম্পর্কে আমি খুব ভালোভাবে সচেতন।
“অনেক ফরাসি আমাদের দেশের উপর আস্থা রাখতে পারছে না, নিজেদের বা আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ের মধ্যে আছে। আমি বিশেষ করে মধ্যবিত্তদের কথা ভাবছি... যারা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজে যায়... এবং কখনও কখনও চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না।”

তিনি নিজেদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ফ্রান্সের সম্ভাবনাকে মুক্ত করতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

গ্যাব্রিয়েল আট্টাল ২০১৭ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদে বিতর্কের ক্ষেত্রে বেশ পটু ছিলেন তিনি। আর এ গুণের কারণে ম্যাক্রোঁর নজর কাড়তে সমর্থ হন তিনি। ২৯ বছর বয়সে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ছোট পদের দায়িত্ব পান তিনি। ২০২০ সাল থেকে ফরাসি সরকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে আসছেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন- ফ্রান্সে পেনশন ব্যবস্থার সংস্কার, সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন হারানো, অভিবাসন আইন নিয়ে সমালোচনার মুখে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো। দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর তিন বছর বাকি। এর আগে সরকারে রদবদল এনে ভাবমূর্তি বাড়াতে চান তিনি।


আরও পড়ুন: