ঢাকা সোমবার
০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
১৪ নভেম্বর ২০২৪

চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস জাপানের


ডেস্ক রিপোর্ট
272

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারী ২০২৪ | ০৩:০১:০৯ পিএম
চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস জাপানের ফাইল-ফটো



বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস গড়ল জাপান। দেশটির মনুষ্যহীন চন্দ্রযান ল্যান্ডর স্লিম (মুন স্নাইপার নামেও পরিচিত) চাঁদে অবতরণ করেছে। খবর- বিবিসি ও রয়টার্স।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের মহাকাশ সংস্থার একটি রোবট সফলভাবে চাঁদে নেমেছে। তবে মহাকাশযানটির সৌর-বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখন ব্যাটারির ওপর নির্ভর করছে যানটি। ফলে এই মিশন হুমকির মুখে পড়তে পারে। ব্যাটারির শক্তি থাকবে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। 

জাক্সার গবেষণা বিভাগের প্রধান হিতোশি কুনিনাকা বলেছেন, ‘এক মাস আগে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে স্লিম। সে সময় সূর্যের অবস্থান যেখানে ছিল— এখন আর সেখানে নেই। ফলে গত বেশ কয়েক দিন ধরেই সৌরশক্তি গ্রহণ করতে পারছে না স্লিমের সোলার প্যানেলগুলো।’

বর্তমানে স্লিমের ব্যাটারিতে যে পরিমাণ শক্তি সঞ্চিত রয়েছে, তাতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা নভোযানটি সচল থাকবে বলে জানিয়েছেন কুনিনাকা। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ব্যাটারি শক্তি শেষ হওয়া মানেই মিশন শেষ হয়ে যাওয়া নয়।

জাক্সার বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন না যে, অবতরণের সময় সোলার প্যানেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কারণ বাকি নভোযানটি অক্ষত রয়েছে। তারা উল্লেখ করেছেন, সামনের সপ্তাহগুলোতে সূর্যের কোণ পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে সোলার প্যানেলগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারে। তখন স্লিমও ফের সচল হবে।

জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘জাক্সা’ জানিয়েছেন, নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো মনুষ্যবিহীন এই চন্দ্রযান নির্দিষ্ট লক্ষ্যের মধ্যেই অবতরণ করেছে।

এক বিবৃতিতে জাক্সা জানিয়েছে, ২০ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস সময়ের পর শুক্রবার জাপানের স্থানীয় সময় রাত ১২টা ২০ মিনিটে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে ল্যান্ডর। এর মধ্য দিয়ে চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করা পঞ্চম দেশ হিসেবে ইতিহাস গড়ল জাপান। এর আগে কেবল যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও ভারত এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পেরেছে।

পৃথিবী থেকে চাঁদের সবচেয়ে কাছের এই অংশের (যে অংশ পৃথিবী থেকে দেখা যায়) ১০০ মিটারের (৩২৮ ফুট) মধ্যে হালকাভাবে স্লিম কে নামানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

যানটি নামার আগে দেখে নেওয়া হয়েছিল কোথাও কোনও বাধা রয়েছে কিনা। ৫০ মিটার দূর থেকে সেটি পরীক্ষা করে দেখা হয়। সেই মতো সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই পালকের মতো চাঁদের বুকে নেমে আসে চন্দ্রযান।

গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর স্লিম এর সফল উৎক্ষেপণ করেছিল জাপান। গত ২৫ ডিসেম্বর চাঁদের কক্ষপথে যানটি প্রবেশের কথা জানিয়েছিল জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

স্লিমের অবতরণের পর এবার চাঁদের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা চলবে। চাঁদের জন্ম, বিবর্তন নিয়ে তুলে আনা হবে অনেক নতুন তথ্য।

জাপানের ল্যান্ডর স্লিম (স্মার্ট ল্যান্ডর ফর ইনভেস্টিগেশন মুন) থেকে যে রোভার নামবে চাঁদের বুকে, তা এক্স-রে ছবি তুলবে। কৃষ্ণগহ্বর, নিউট্রন স্টার এবং সুপারনোভার উচ্চ মানের এক্স-রে তুলে জাপানের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রে পাঠানো হলে সেগুলোর গঠন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন বিজ্ঞানীরা।


আরও পড়ুন: