বিশ্ব ইজতেমা: চট সংকট, শামিয়ানা আনতে হবে মুসল্লিদের
ডেস্ক রিপোর্ট
138
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী ২০২৪ | ০৩:০১:৩২ পিএম
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরুর বাকি আর মাত্র দুই দিন। এখনো ইজতেমা ময়দান পুরোপুরি তৈরি হয়নি। মাঠের বেশির ভাগ অংশে এখনো টানানো হয়নি সামিয়ানা। ইজতেমায় ৪০ জেলার মুসল্লিদের সামিয়ানা আনতে বলা হয়েছে।
ইজতেমার প্রথম পর্বের আয়োজক জুবায়েরপন্থিদের মুরব্বি প্রকৌশলী আব্দুর নূর বলছেন, “গত বছর সা’দ অনুসারীদের মাঠ হস্তান্তরে বিলম্ব হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ময়দানে শামিয়ানা টানানো ছিল। রোদ-বৃষ্টিতে সিংহভাগ চট নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে এবার চট সংকট দেখা দিয়েছে।
“চট সংকট থাকায় এবার পুরো মাঠে শামিয়ানা টানানো সম্ভব হয়নি। তাই ইজতেমার মুরুব্বিদের পরামর্শ অনুযায়ী, বিভিন্ন জেলা থেকে ইজতেমাস্থলে আগত তাবলীগ জামাতের সাথিদের নিজ দায়িত্বে শামিয়ানা এনে টাঙ্গানোর অনুরোধ করা হয়েছে। ৬৪ জেলার মধ্যে ৪০ জেলায় এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
এ বিষয়ে ইজতেমার প্রধান সমন্বয়ক প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি তার পাশে থাকা মোস্তফা কামালের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তিনি বলেন, পরামর্শ মোতাবেক সারা দেশ থেকে জিম্মাদার সাথীরা নিজেরা শামিয়ানা নিয়ে আসবে। শামিয়ানার মাপ হবে ১৮ ফুট বাই ৩৬ ফুট।
ময়দানে চটের সংকট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে তিনি বলেন, মূল প্যান্ডেলের ৩০ ভাগ কাজ হয়েছে। বাকি পুরোটাই খালি। যে প্যান্ডেল হয়েছে হয়তো ২-৪টি জেলার সাথী ভাইয়েরা এখানে বসতে পারবেন। এ কারণে প্রত্যেক জেলার তাবলীগ সাথীদের শামিয়ানা আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শামিয়ানার বিষয়ে জানতে চাইলে মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরুব্বি মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘ইজতেমা মাঠের আগের চটগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ কারণে চটসংকট দেখা দিয়েছে। আমরা মুসল্লিদের নিজ নিজ দায়িত্বে শামিয়ানা নিয়ে আসতে বলেছি। ৬৪ জেলার মধ্যে ৪০ জেলার মুসল্লিদেরই নিজেদের শামিয়ানার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। তারা এলেই পুরো মাঠে শামিয়ানা টানানো হয়ে যাবে।
“প্রতিটি জেলার জন্য ১৮ ফুট প্রস্থ ও ৩৬ ফুট লম্বা জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাবলীগের সাথিরা ইজতেমা শেষে আবার নিজ দায়িত্বে তাদের এ শামিয়ানার চট খুলে নিয়ে যাবেন।”
মাঠের উত্তর-পূর্ব পাশে কথা হয় চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা তাবলীগের সাথি ষাটোর্ধ্ব মো. মোজাম্মেল হকের সঙ্গে। তিনি বলছিলেন, “৪৪ বছর ধরে ইজতেমায় অংশ নিচ্ছি। এবারই প্রথম নিজ দায়িত্বে শামিয়ানার চট নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠু সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ করতে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ শুরু করেছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি দপ্তর নিজ নিজ সেল গঠন করেছে। যতই সময় যাচ্ছে ততই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করতে দলে দলে লোক আসছে। মাঠে এসেই ধর্মপ্রাণ মানুষ ইজতেমার কাজে লেগে পড়ছেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। আমরা সর্বোাচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমা সমাপ্ত হবে।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে। ৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে প্রথম পর্ব। এরপর ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন:
জাতীয় সম্পর্কিত আরও
উপজেলা নির্বাচনঃ প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোট
০৭ মে ২০২৪
১৫০ উপজেলায় ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
০৬ মে ২০২৪
সারাদেশে স্বস্তির বৃষ্টি কমেছে তাপমাত্রা
০৬ মে ২০২৪
আইওএম’র মহাপরিচালক পাঁচ দিনের সফরে এখন ঢাকায়
০৫ মে ২০২৪
আজ থেকে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা খুলেছে
০৫ মে ২০২৪
শিক্ষার্থীদের সুন্দর মনোভাব ধরে রাখতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
০৫ মে ২০২৪